আইনের কোনো তোয়াক্কা না করেই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে ড. এম খায়রুল হোসেনের চুক্তির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়েছে সরকার। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তার মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
Advertisement
২০১০ সালে শেয়ারবাজারের ধসের কারণ অনুসন্ধানে খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে বিএসইসিকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়। সেই সুযোগে ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট বিএসইসিতে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক খায়রুল হোসেন।
প্রথমবার ৩ বছরের জন্য খায়রুল হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়। যা শেষ হওয়ার আগেই পুনঃনিয়োগ পান তিনি। তবে এক্ষেত্রে তিনি ৪ বছরের জন্য নিয়োগ পান। দ্বিতীয় দফায় তার ৪ বছরের জন্য নিয়োগ পাওয়ার কারণ ছিল ওই নিয়োগের আগেই কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মেয়াদ ৩ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৪ বছর করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল চার বছরের চুক্তিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান করা হয় খায়রুল হোসেনকে। তবে তিনি বিএসইসিতে যোগদান করেন ওই বছরের ১৫ মে।
Advertisement
সে হিসাবে দুই দফা বিএসইসির চেয়ারম্যানের হিসেবে নিয়োগ পাওয়া খায়রুল হোসেনর ৭ বছর পূর্ণ হবে আগামী ১৪ মে। অর্থাৎ চলতি বছরের ১৪ মে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে খায়রুল হোসেনর শেষ দিন হওয়ার কথা ছিল। তবে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরকার তাকে আরও দুই বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান করার নির্দেশ দিয়েছে। অথচ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ সালের ৫ এর ৬ উপধারা অনুযায়ী, বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা শুধুমাত্র ১টি মাত্র মেয়াদের জন্য পুনঃনিয়োগের যোগ্য হইবেন।
এদিকে খায়রুলকে নতুন করে দুই বছর বিএসইসির চেয়ারম্যান করা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে আসীন সরকারের সিনিয়র সচিব পদ মর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের চুক্তির মেয়াদ পূর্বের ধারাবাহিকতায় ১৪ মে ২০১৮ অথবা যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী ২ বছর বৃদ্ধি করা হলো।
এর আগে চলতি বছরের ১৫ মার্চ সরকারের সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা লাভ করেন তিনি।
বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে খায়রুল হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগে অধ্যাপনা করতেন। একই সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। খায়রুল হোসেন ১৯৮৫ সালে প্রভাষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। তিনি মস্কো থেকে অর্থনীতি বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ও পরিসংখ্যানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
Advertisement
এমএএস/জেএইচ/পিআর