নারী ও শিশু

‘নারী মরে লাজে, নারী মরে ত্রাসে’

‘চিৎকার করো মেয়ে দেখি কতদূর গলা যায়, আমাদের শুধু মোমবাতি হাতে নিরব থাকার দায়। চিৎকার করো মেয়ে দেখি যতদূর গলা যায়, আমাদের শুধু ধ্বজাভাঙা রথে এগিয়ে চলার দায়।’ -শিল্পী ডোনা গুপ্তের গানটি যখন নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে গাইছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী অপর্ণা চৌধুরী হলরুমের চারদিকে তখন পিনপতন নিরবতা। গানটির প্রতিটি লাইন প্রতিবাদী করে তুলছিলে উপস্থিত নারীদের।

Advertisement

রোববার (২৩ এপ্রিল) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে নারী যোগাযোগ কেন্দ্রের বার্ষিক সমন্বয় সভায় এ গান পরিবেশন করা হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চট্টগ্রাম ফাইট ফর উইমেন রাইটসের সভাপতি ও নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু।

তিনি বলেন, ‘হাজার বছর আগে পরিয়ে দেয়া শিকল এখনো আমাদের (নারীদের) পায়ে। নারীকে এখনো সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র মনে করা হয়। এই যে, অপর্ণা চৌধুরী গাইলেন…‘জন্মের আগে মৃত্যু’ এটি কেন? কারণ, নারী শিশু জন্মের আগেই গর্ভপাত করার কথা আসে। নারী কখনো লাজে মরে, কখনো মরে ত্রাসে।’

রেহানা বেগম রানু বলেন, ‘গতকালের ঘটনা, এক নারী ক্রিকেটারকে ইয়াবাসহ গ্রেফতারের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমার মনটা মানছে না। মেয়েটাকে আমার দেখতে ইচ্ছে করছে। জানতে ইচ্ছে করছে আসল ঘটনাটা কী।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘নারীকে প্রথমে পরিবারের মধ্যে বাঁচাতে হবে। নারী শিক্ষকের হাতে, চাচা-মামাদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে। অনেকে বলেন, অশালীনতার জন্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। পাঁচ বছরের মেয়ে সে কোন অশালীন পোশাক পরে? সে শালীনতার কোন কাতারে পরে?’ এ সময় নারীদের রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ওডেব-এর প্রধান নির্বাহী শ্যামলী মজুমদার, বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষিকা সালমা জাহান মিলি, উৎস-এর প্রধান মোস্তফা কামাল যাত্রা এবং নগর পুলিশের এসআই সুচিত্রা দাশ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সৌমন্তি সেন তাতই ও নারী যোগাযোগ কেন্দ্রের শিল্পীরা প্রতিবাদী নৃত্য পরিবেশন করেন।

আরএস/এমএস

Advertisement