প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেছেন, সুষ্ঠু অভিবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হলে পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকসহ প্রফেশনালদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই।
Advertisement
সোমবার সকালে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ইউএই-এ শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর পরবর্তী প্রেস ব্রিফিং-এ মন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত হওয়ায় আমাদেরকে উভয় দেশের নিয়মনীতি অনুসরণ পূর্বক কর্মী প্রেরণ করতে হবে। মন্ত্রী সম্ভাবনাময় এ শ্রমবাজারটিতে প্রশিক্ষিত কর্মী প্রেরণের মাধ্যমে আরও সম্প্রসারণ ও সুসংহত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সবাইকে আরও সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ জানান। এক্ষেত্রে মিডিয়ার জোরালো ভূমিকা আশা করেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের একটি অন্যতম শ্রমবাজার। এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, বোয়েসেল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৮ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। আমিরাতের মানব সম্পদ এবং এমিরাটাইজেশন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী নাসের আল হামলি-এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানব সম্পদ ও এমিরাটাইজেশন মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি সাইফ আহমেদ আল সুআইদি নিজ নিজ দেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারকটি বাস্তবায়নের জন্য উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এ কমিটিকে কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে জয়েন্ট কমিটি গঠন করে সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে।
Advertisement
আরএম/এমআরএম/এমএস