আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি দল ভারত সফরে রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
Advertisement
বাংলাদেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ঠিক কোন চোখে দেখে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি।
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা বিনয় সহস্রবুদ্ধে বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘দুই দেশে দুটো দলের মধ্যে সম্পর্ক রক্ষাকে বিজেপি বরাবর খুব গুরুত্ব দেয় - আর সেই জন্যই আওয়ামী লীগ নেতাদের এই সফর বিজেপির সেই দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন।’
একইসঙ্গে যারা মনে করেন শেখ হাসিনা শুধু কংগ্রেস এবং নেহরু-গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ তাদরে ধারণাও ভ্রান্ত বলে মনে করেন তিনি।
Advertisement
তার ভাষায়, ‘একজন ব্যক্তি, দলনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা যে ভারত ও ভারতীয়দের কাছের মানুষ তাতে কোনও ভুল নেই। জীবনের একটা খুব কঠিন সময়ে তিনিও ভারতের সাহায্য পেয়েছেন। কিন্তু সেটাকে যদি শুধু একটা দল বা পরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা হিসেবে দেখা হয়, তাহলে সেটা মারাত্মক ভুল হবে!’
এ বিষয়ে বিজেপির পলিসি রিসার্চ সেলের অনির্বাণ গাঙ্গুলি বলছেন, ‘এই যে একটা ধারণা ছিল আওয়ামী লীগ ভারতে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ, ব্যাপারটা আদৌ সেরকম কিছু নয়। ভারতে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকুক, আমরা সব সময় চেয়েছি পররাষ্ট্রনীতিতে একটা ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। বিজেপিও বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগকে সেই দৃষ্টিতেই দেখে এসেছে।
এদিকে বিজেপির এখনও সহজ, খোলামেলা সম্পর্কে আসতে পারেনি বিএনপি।
এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অনির্বাণ গাঙ্গুলি বলছেন, ‘রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যখন বাংলাদেশ সফরে যান, খালেদা জিয়া এসে দেখাও করেননি। সেটা ছিল পরিষ্কার কূটনৈতিক অসৌজন্য। তবে বাংলাদেশে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, আমরা সব সময়ই চাই সে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে একটা ফ্রেমওয়ার্ক রেখে এগিয়ে যাক।’
Advertisement
‘আমার ব্যক্তিগত মত হল বিএনপি যতক্ষণ না জামায়াত সম্বন্ধে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করছে, ততক্ষণ সম্পর্কে একটা অস্পষ্টতা রয়েই যাবে। আমরা কেউই তো বিচ্ছিন্ন নই - প্রত্যেকেই আমরা একটা আঞ্চলিক যোগসূত্রে বাঁধা - সেই সামগ্রিকতায় জামায়াতের পরিকল্পনা কী, বিএনপিই বা তাদের সম্পর্কে কী ভাবছে ... এগুলো যতক্ষণ না পরিষ্কার হবে ততক্ষণ দীর্ঘমেয়াদে কোনও বন্ধনও গড়ে ওঠা সম্ভব হবে না বলে আমার ধারণা।’
সূত্র: বিবিসি বাংলা।
এনএফ/জেআইএম