নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা সর্বশক্তিমান। কুরআনে পাকের অনেক জায়গায় আল্লাহ তাআলা এ ব্যাপারে আয়াত নাজিল করেছেন। কিন্তু পৃথিবীতে কি বা কে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী তা বলা মুশকিল। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ঘটনা বর্ণনা করে বললেন যে, গোপনে দানকারী ব্যক্তিই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শক্তিশালী ব্যক্তি। হাদিসের বর্ণনাটি তুলে ধরা হলো-
Advertisement
আল্লাহ তাআলা যখন জমিনকে সৃষ্টি করলেন তখন জমিন দুলতে (কাঁপতে) লাগল। (পানির ওপর ভাসমান নৌকা যেমন দুলতে থাকে; কেননা জমিনকেও পানির ওপর সৃষ্টি করা হয়েছে)
তখন আল্লাহ তাআলা বিশাল বিস্তৃত পর্বতমালা সৃষ্টি করে জমিনের ওপর বসিয়ে দিলেন; তখন জমিন স্থবির হয়ে গেল।
তখন ফেরেশতারা আশ্চর্যন্বিত হয়ে বলল, হে আল্লাহ! তোমার সৃষ্টিতে পাহাড়ের চেয়েও শক্তিশালি কোনো কিছু আছে কি?
Advertisement
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করলেন, ‘হ্যাঁ’ আছে, তাহলো লোহা।
ফেরেশাতারা পুনরায় জানতে চাইলো- হে আল্লাহ! তোমার সৃষ্টি জগতের মধ্যে লোহার চেয়ে শক্তিশালী কোনো কিছু আছে কি?
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করলেন, ‘হ্যাঁ’ আছে, তাহলো আগুন।
ফেরেশতারা আবার জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহ! তোমার সৃষ্টি জগতের মধ্যে আগুনের চেয়ে শক্তিশালী কোনো কিছু আছে কি?আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করলেন, ‘হ্যাঁ’ আছে, তাহলো পানি।
Advertisement
ফেরেশতারা আবার জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহ! তোমার সৃষ্টি জগতের মধ্যে পানির চেয়ে শক্তিশালী কোনো কিছু আছে কি?আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করলেন, ‘হ্যাঁ’ আছে, তাহলো বাতাস।
অতঃপর ফেরেশাতারা আরজ করল - হে আল্লাহ! তোমার সৃষ্টি জগতের মধ্যে বাতাসের চেয়ে শক্তিশালী কোনো কিছু আছে কি?
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করলেন, ‘হ্যাঁ’ আছে, সে হলো ওই আদম সন্তান; যে আল্লাহর পথে ডান হাতে ব্যয় করে কিন্তু তার বাম হাত তা জানে না। অর্থাৎ আল্লাহর সঙ্গে তার এমন ঘনিষ্টতর এবং গভীর সম্পর্ক হয় যে সে অতি গোপনে তার যথা সর্বস্ব আল্লাহর পথে খরচ করতে এতটুকু কুন্ঠিত হয় না। আর এমন ব্যক্তিই সৃষ্টি জগতের মধ্যে সর্বাধিক শক্তিশালী। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, তাফসিরে নুরুল কুরআন)
সুতরাং পৃথিবীর শক্তিশালী ব্যক্তির তালিকায় সব মুমিন মুসলমান সম্পৃক্ত হোক এটা ঈমানের একান্ত দাবিও বটে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর পথে গোপনে দান-সাদকা করার মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের শক্তিশালী মানুষ হিসেবে তৈরি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর