‘আমার স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ আশ্রয় কেন্দ্র হচ্ছে এ মাটি। আমি মাটি চাপা পড়ে মারা গেলেও এখান থেকে যাবো না। গেলেও কোথায় যাবো স্বামীর সম্পদ ছেড়ে।’ পাহাড় ধসের পরও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস নিয়ে একথা বলেন নতুন পাড়ার বাসিন্দা খাদিজা বেগম। শনিবার তার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি একথা বলেন।
Advertisement
এদিকে শনিবার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সরে যেতে সচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি শহরের শিমুলতলী, নতুন পাড়া, মনতলা, রাঙ্গাপানি এলাকা পরিদর্শন করে সতর্কতামূলক সাইন বোর্ড স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক।
পাহাড় ধসের আগাম প্রস্তুতি হিসাবে এ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রচারণার কাজের ফাঁকে নতুন পাড়ার এ বাসিন্দার সঙ্গে আলাপকালে তিনি কথাগুলো বলেন।
খাদিজা বেগম বলেন, গত বছরের পাহাড় ধসে আমার ঘরবাড়ি সব ধসে গিয়েছিলো। দীর্ঘদিন সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রেও ছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে একমাস পরে কিছু টাকা আর ঢেউ টিন দিয়ে বলে নিরাপদ স্থানে ফিরে যেতে। নিরাপদ স্থান কোথায় এটা কেউ বলে না। শেষ মেষ স্বামীর ভিটায় আবারও ফিরে এলাম। এবার আমাদেরকে বুঝিয়ে কিছুই হবে না। আমি বাঁচলে এখানে বাঁচবো মরলে এখানেই মরবো বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।
Advertisement
প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধস হয়। এতে ১২০ জন মানুষ মারা যায় এবং জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আরএ/পিআর