রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের সমৃদ্ধির জন্য মৎস্য উৎপাদনে ব্লু-ইকোনমির বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে দক্ষ জনবল ও লাগসই প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।মঙ্গলবার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৫’ উদ্যাপিত হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে তিনি দেশের মৎস্যজীবী, মৎস্যচাষি, ব্যবসায়ী, মৎস্যবিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে মৎস্যখাতের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ পূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানসহ রফতানি আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ এ খাত থেকে আসে । তিনি বলেন, সরকার মৎস্য খাতের উন্নয়নে মৎস্যচাষ কার্যক্রম সম্প্রসারণসহ উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, মৎস্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম, মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ ও মৎস্য গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে। ফলে মাছের উৎপাদন পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিককালে সমুদ্র বিজয়ের ফলে ‘ব্লু-ইকোনমি’র বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, অভ্যন্তরীণ মুক্তজলাশয় ও অন্যান্য বদ্ধজলাশয়ে পরিকল্পিত মাছচাষের ফলে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ স্থান অর্জন করেছে। মৎস্যখাতের উন্নয়নে এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক মৎস্যখাতের উন্নয়নে যে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগাতে পারলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে বিশেষ অবদান রাখবে। দেশের সমৃদ্ধি প্রচেষ্টার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘সাগর নদী সকল জলে, মাছচাষে সোনা ফলে’ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement