আন্তর্জাতিক

সাইবার অপরাধ বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার

সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহ। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের (সিএইচওজিএম) বৈঠকে ঐতিহাসিক এক ঘোষণায় কমনওয়েলথের ৫৩ নেতা সাইবার অপরাধ বন্ধে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ঘোষণা সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং ভৌগলিক দিক থেকে আন্তঃসরকারের একটি বলিষ্ঠ প্রতিশ্রুতি।

সিএইচওজিএম’র ওই ঘোষণার পর অপরাধী গ্রুপকে সামলাতে ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী রাষ্ট্রকে মোকাবেলায় সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা জোরদারে কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহকে সহায়তা করতে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড ঘোষণার পর বলেন, সাইবার স্পেস আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। তিনি বলেন, অভিন্ন পণ্যের জন্য কমনওয়েলথ কানেকশনের বহুমুখী স্তরের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এতে অনেক ইতিবাচক সুফল বয়ে আনবে। কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রসমূহ তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে একসঙ্গে কাজ করবে। তারা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় যেকোন সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নিতে পারবে।

Advertisement

কমনওয়েলথ সাইবার ঘোষণা অর্থনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অনলাইন অধিকারের মতো বিষয়ে সাইবার স্পেসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। কমনওয়েলথ সদস্য দেশসমূহের মধ্যে ছোট দেশগুলোর জন্য এ ঘোষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত ৫৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে ৩১টি রাষ্ট্রের জন্য এ ঘোষণা সাইবার অপরাধ বন্ধে সহায়ক হবে। তারা নিজেদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি এগিয়ে নিয়ে যেতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে পারবে।

কমনওয়েলথ সিভিল ও ক্রিমিনাল জাস্টিস রিফর্ম অফিসের প্রধান স্টিভেন ম্যালবে বলেন, কমনওয়েলথ সাইবার ঘোষণা একটি ঐতিহাসিক দলিল। এ দলিল কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত ৫৩টি রাষ্ট্রকে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় কমনওয়েলথ এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

বিশ্বব্যাপী সাইবার চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার অপরাধ বন্ধ এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কমনওয়েলথ দেশসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা এবং সাইবার স্পেস প্রশ্নে আন্তর্জাতিক আলোচনায় কমনওয়েলথকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার কর্মকর্তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সক্ষমতা গড়ে তুলতে এ ঘোষণার প্রয়োজন ছিল। এ ঘোষণা কমনওয়েলথ সাইবার ইনিশিয়েটিভ (সিসিআই) ও কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশনসহ (সিটিও) এ ক্ষেত্রে অব্যাহত কাজ করে যাবে।

Advertisement

সিটিও এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় কমনওয়েলথ সেক্রেটারি সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা গড়ে তুলতে সাইবার অপরাধে আক্রান্ত দেশগুলোকে টেকনিক্যাল সহায়তা দেবে। সূত্র- বাসস।

এমএআর/