গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন সংসদ বহাল রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এটি তার সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এটা বলা যায়; কিছু অসৎ লোক ছাড়া সবাই বলবে আগামী নির্বাচন হবে অবাধ নিরপেক্ষ।
Advertisement
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তিনতলায় মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের পক্ষে উত্থাপিত লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজে জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকারসহ সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে- বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা। ফলে যথাযোগ্য বিচারকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থা অপরিহার্য। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে- এটাই আইনের শাসনের মূল কথা।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয় ৯০’ সালে তিন জোটে রূপরেখা ও ২০০৫ সালে ১৪ দলের ২৩ দফা কর্মসূচি ভিত্তিক গণ-আন্দোলনের বিজয়ের পর লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে জাতয়ি ঐক্যর ঘাটতি ও দুর্বলতার কারণে- জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি। একারণে লক্ষ্য ও কর্মসূচি ভিত্তিক আন্দোলনের বিজয়ের পর, কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের চেতনাকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
Advertisement
লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য আওম শফিক উল্লাহ।
পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, দেশের মানুষ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশে ঘুষ-দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে। ওপরের দিক থেকে নিচে সর্বত্র ঘুষ-দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। জনগণ অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষ সুশাসন চায়।তিনি বলেন, মানুষ এখন তার ক্ষমতার মালিকানা ফেরত চায়। মানুষ ক্ষমতার মালিক হতে চায়।
ড. কামাল বলেন, দেশবাসী একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সবাই আশা করেছিল ২০১৪’র অনুষ্ঠিত তথাকথিত একটি নির্বাচনের পর খুব শিগগির আরও একটি নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্মম পরিহাস সে নির্বাচন এখনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, জনগণের দাবি আদায়ে ঐকবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া সবার সঙ্গে ঐক্য হবে। ঐক্য হবে নীতির ওপর ভিত্তি করে। এবং সে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যম জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্টির নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মোহসীন মোস্তফা মহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জানে আলম প্রমুখ।
Advertisement
এফএইচএস/জেএইচ/আরআইপি