জাতীয়

নারী ভোটার নিয়ে সুজনের তথ্য ভুল : ইসি

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর তথ্য অনুযায়ী নারী ভোটার আশঙ্কাজনক হারে কমার দাবিকে ভুল আখ্যায়িত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে স্বাধীন এ সংস্থাটি।ইসির জনসংযোগ পরিচালক আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুজন নামে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে, দেশে আশঙ্কাজনক হারে নারী ভোটার কমেছে অর্থাৎ জেন্ডার গ্যাপ  বেড়েছে। বলা হচ্ছে সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী পুরুষ-নারী ভোটারের পার্থক্য ১২ শতাংশ। অর্থাৎ নারী  ভোটার কমে গেছে ১২ শতাংশ। কিন্তু সর্বশেষ হালনাগাদের পর ১৫ জুন পর্যন্ত বর্তমান ডাটাবেজে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৫০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর নারীর ভোটারের সংখ্যা ৪৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। কাজেই সুজনের তথ্য সঠিক নয়।অন্যদিকে সুজন বলেছে, ফেনী জেলায় নারী-পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ, লক্ষীপুরে ৩০ দশমিক ৮২ শতাংশ, নোয়াখালীতে ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, চাঁদপুরে ৫০ দশমিক ৬১ শতাংশ, কুমিল্লায় ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ, কক্সবাজারে ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ ও ভোলায় ২০ দশমিক ২৩ শতাংশ।ডাটাবেজ অনুযায়ী, ফেনীতে পুরুষ-নারী ভোটারের অনুপাত ৫০ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও ৪৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, লক্ষীপুরে ৫০ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও ৪৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, নোয়াখালীতে ৫০ দশমিক ৩৭ শতাংশ ও ৪৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, চাঁদপুরে ৫০ দশমিক ৬১ শতাংশ ও ৪৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কুমিল্লায় ৪৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ, কক্সবাজারে ৫১ দশমিক ৪১ শতাংশ ও ৪৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং ভোলায় ৫০ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও ৪৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ সুজনের তথ্য সম্পূর্ণ ভুল।বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, একটি সম্পূর্ণ নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য ভোটার তালিকা তৈরিতে নির্বাচন কমিশন সব সময়ই সজাগ, যত্নবান ও বদ্ধপরিকর। তাই আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত জাতীয় সম্পদ ছবিসহ ভোটার তালিকা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিতর্কিত না করতে আহ্বান জানিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই সুজন সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পরিচয়পত্রের হালনাগাদে বিভিন্ন ক্রুটির কথা উল্লেখ করে। এ সময় নারী ভোটার আশঙ্কাজনক হারে কমছে বলেও জানানো হয়।এইচএস/আরএস/পিআর

Advertisement