কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ২১ এপ্রিল। তাকে স্মরণ করে একই দিনে প্রকাশ হচ্ছে একটি বিশেষ অ্যালবাম। নাম ‘চন্দ্রা থেকে রোকেয়া হল’। শেলু বড়ুয়ার গাওয়া এ অ্যালবামটি লাকী আখন্দকে উৎসর্গ করা হয়েছে। অ্যালবামটির শিরোনাম গান দুটি। যার একটি ‘চন্দ্রা থেকে ফেরার পথে’। কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা এই গানটি ৮০ দশকে সুর করেছেন লাকী আখন্দ। অন্য শিরোনাম গান হলো ‘রোকেয়া হলের সেই পথ দিয়ে’। এই গানটি লিখেছেন শাফাত খৈয়াম, আর সুর করেছেন শেখ সাদী খান।
Advertisement
শেলু বড়ুয়া জানান, অ্যালবামটিতে আরও দুটি গান রয়েছে। সবক’টি গানের নতুন সংগীতায়োজন করেছেন ফোয়াদ নাসের বাবু। অ্যালবামটি প্রসঙ্গে শেলু বড়ুয়া বলেন, ‘সংগীত ও ব্যক্তিগত জীবনে লাকী আখন্দের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উনার ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দ আমার বাল্যবন্ধু। ফলে পারিবারিকভাবে আমাদের অনেক গান-সুর আর স্মৃতি জড়িয়ে আছে। লাকী ভাই ছিলেন আমার গুরুর মতো। তাকে স্মরণ করতে আমার এই ক্ষুদ্র নিবেদন।’
শেলু বড়ুয়া লিসেনার্স ক্লাব-এর ব্যানারে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে অ্যালবামটি উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান এ শিল্পী।
এদিকে সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আধুনিক গানের অন্যতম এই শিল্পীকে স্বরণ করে লোকগানের দল ‘নকশীকাঁথা’ একটি গান গাইবে এনটিভির ‘মাটির গান’ অনুষ্ঠানে।
Advertisement
অনুষ্ঠানটি আজ শনিবার রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে। লাকী আখন্দের খুব বিখ্যাত কয়েকটি গানের একটি দুটি করে লাইন নিয়ে গানটি তৈরি করেছেন বলে জানান ‘নকশীকাঁথা’ দলটির গায়ক সাজেদ ফাতেমী।
গানটির প্রথম লাইনগুলো হলো,‘আগে যদি জানতাম, চলে যাবে এভাবে,যেখানে সীমান্ত তোমার,কবিতা পড়ার প্রহরে,ধবধবে সাদা কাপড়ে,শেষ হবে লাল নীল সংসার।’
সাজেদ ফাতেমী বলেন, ‘মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেছেন লাকী আখন্দ। বাংলাদেশের একটি কিশোরের জন্য এটি কত বড় খবর, তা ভাবা যায়? আমাদের আধুনিক গানের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ তিনি। তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে এনটিভিতে গান গাওয়ার সুযোগ আমরা পেয়েছি। আশা করছি,গানটি সবার ভালো লাগবে।’
‘নকশীকাঁথা’ দলটি প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পূর্ণ করে ১২-তে পা দিয়েছে। ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি দলটির জন্ম হয়। দলটির মূল গায়ক সাজেদ ফাতেমী।
Advertisement
এমএবি/এলএ/এমএস