জাতীয়

ন্যাশনাল সার্ভিসের উপকারভোগীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কমিটি

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি শেষ হয়েছে দেশের এমন সব জেলা ও উপজেলার উপকারভোগীদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। 

Advertisement

১৪ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির সভাপতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এই কমিটি গঠন করে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

সরকারি সিদ্বান্ত মোতাবেক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যুবকদের দুই বছরের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিসে নিযুক্ত করা হয়। 

এ কর্মসূচির আওতায় বেকার যুবক-যুবতীরা ৩ মাস প্রশিক্ষণের পর দুই বছর মেয়াদে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়ে থাকেন। তাদের প্রশিক্ষণকালীন প্রতিদিন ১০০ টাকা (মাসে তিন হাজার টাকা) ও চাকরির সময় প্রতিদিন ২০০ টাকা হারে (মাসিক ৬ হাজার টাকা) ভাতা দেয়া হয়। সুবিধাভোগীদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর।

Advertisement

দেশে এ পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে ২৭টি উপজেলা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ পর্বে ৩৭টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এখন পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম পর্বে দেশের আরও ৬০ উপজেলায় এবং পার্বত্য ৩ জেলার ৪ উপজেলাসহ মোট ৬৪ উপজেলায় এই কর্মসূচি চলছে।

ন্যাশনাল সার্ভিসের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানিয়ে আসছেন উপকারভোগীরা। এই প্রেক্ষাপটে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির দশম সভায় এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। 

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- যুব উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক (ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি), অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিনিধি (উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিনিধি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের প্রতিনিধি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধি। তবে তারা কেউ উপসচিব পদমর্যাদার নিচে হবেন না।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব (যুব-২), কমিটিতে সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটি প্রয়োজনবোধে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে এবং কোনো বিশেষজ্ঞকে সভায় আমন্ত্রণ জানাতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

আরএমএম/এমএমজেড/এমএস