দেশজুড়ে

কুমিল্লায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব

কুমিল্লার মুরাদনগর ও চৌদ্দগ্রামসহ কয়েকটি উপজেলায় শুক্রবার দুপুর ও সন্ধ্যার কালবৈশাখীর আকস্মিক ঝড়ে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও গাছ পালার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছ উপড়ে গিয়ে অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

জানা যায়, শুক্রবার কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের ভলবদী এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই উপজেলার সাতমোড়া, পায়ব, ভলবদ, সয়ফুল্লাকান্দি, আলীরচর, ঘোড়াশাল, নবীপুর, গকুলনগর, কুলুবাড়ী, বাখরনগরসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘর-বাড়ী ও সহস্রাধিক গাছ-পালা বিধ্বস্ত হয়। শুশুন্ডা ও বাখরাবাদ এলাকায় ২টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রাত ৯টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম হাবীবুর রহমান বলেন, শুশুন্ডা ও বাখরাবাদ এলাকায় ২টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম বলেন, `কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলা প্রশাসন থেকে সহায়তা করা হবে।‘

Advertisement

এদিকে জেলার চৌদ্দগ্রামেও কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে চৌদ্দগ্রাম বাজারের ওহাব মার্কেটসহ বাজারের কয়েকটি মার্কেটের উপরের টিনের ছাউনী ঝড়ে উড়ে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় অনেক দোকানের সাইনবোর্ড মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকতেও দেখা যায়। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটগুলি পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় সাংবাদিক আবু বকর সুজন জানান, দুপুরে মাত্র ৩ মিনিটের কালবৈশাখীর ছোবলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলার অন্যান্য উপজেলায় ঝড়ে কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গাছ-পালা ও ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

মো. কামাল উদ্দিন/এসআর/এমএস

Advertisement