জাতীয়

এলএনজি-এলপিজির যৌক্তিক মূল্যহার নির্ধারণের দাবি

ভোক্তাস্বার্থ উপযোগী-পরিবেশবান্ধব এলএনজি ও এলপিজির যৌক্তিক মূল্যহার নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে নাগরিক কমিটি। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোল টেবিল মিলনায়তনে নাগরিক সভায় এ দাবি জানানো হয়।

Advertisement

নাগরিক কমিটির পক্ষে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামাসুল আলম বলেন, বিইআরসির আইন লঙ্ঘন হলেও জ্বালানি বিভাগ এলপিজির মূল্যহার বিইআরসি কর্তৃক নির্ধারণ হতে দিচ্ছে না। গ্যাস খাতে রাজস্ব ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও গ্যাসের মূল্যহার বেড়েই চলেছে। শিল্প ও আবাসিক গ্রাহককে চরম গ্যাস সঙ্কটে রাখা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস বন্টন চরম বৈষম্যের শিকার। সেই সঙ্গে পরিবহন খাতে সিএনজি রেশনিং বাড়ছে।

হিসেব তুলে ধরে তিনি বলেন, পরিবহনের প্রায় ৬০ শতাংশ চলে সিএনজিতে। এই সিএনজির পরিমাণ মোট গ্যাসের ৪.৭৬ শতাংশ। তা থেকে ব্যবহার হয় শিল্প খাতে প্রায় ১ শতাংশ। গণপরিবহনে ৩ শতাংশের মতো। পরিবেশ সুরক্ষা ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারের রাজস্ব হ্রাস রোধে সিএনজি সরবরাহ কমানো ও মূল্য বাড়ানো সঠিক নয়।

সিএনজি থেকে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ২৫ শতাংশ। প্রায় ৩৫ লক্ষ চুলায় গ্যাস ব্যবহার হয় মোট গ্যাসের ১৬ শতাংশ। প্রতি চুলায় মাসে ৯৩ ইউনিট গ্যাস ব্যবহার হয় এই হিসেবে গ্যাসের মাসিক বিল ৮০০ টাকা। বাস্তবে কমবেশি ২০ ইউনিটের বেশি গ্যাস ব্যবহার হয় না। বাদবাকি প্রায় ৭৫ শতাংশ গ্যাস থেকে আবাসিক গ্রাহক বঞ্চিত হয়।

Advertisement

শামাসুল আলম বলেন, আইওসি, বাপেক্স, বিজিএফসিএল ও এসজিএফএল-এর নিকট থেকে ক্রয়কৃত গ্যাসের ক্রয় মূল্যহারের সঙ্গে এসডি-ভ্যাটসহ উল্লিখিত সব চার্জ ও মার্জিন যোগ করায় ভোক্তা পর্যায়ে দেশীয় গ্যাসের বিক্রয় মূল্যহার ৭.৩৯ টাকা। এসডিসহ ওইসব চার্জ দ্বারা ঘাটতি সমন্বয় হলে এবং এলএনজি মিশ্রিত গ্যাসের সরবরাহ ব্যয় যৌক্তিককরণ করাসহ ঘুষ-দুর্নীতি, চুরি রোধ করা হলে ভোক্তা পর্যায়ে আবারও গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধি প্রয়োজন হয় না।

নাগরিক কমিটির পক্ষে কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থাপতি মোবাশ্বর হোসেন, কমিউনিটি পার্টির সভাপতি মণ্ডলির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। এএস/এমআরএম/পিআর