প্রবাস

বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে জাপানে ‘বাংলা নববর্ষ’

মঙ্গল ও আনন্দের বার্তা নিয়ে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ আসে বাঙালির চেতনায়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নববর্ষ ছুঁয়ে যায় প্রবাসে অবস্থানকারী সব বাংলাদেশি, এমনকি বিদেশি বন্ধুদের মাঝেও। জাপানও এর ব্যতিক্রম নয়।

Advertisement

বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে ২০ এপ্রিল ২০১৮ জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ হাউসে বিদেশি বন্ধুদের সম্মানে নববর্ষ উদযাপন ও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের সংসদ সদস্য, জাপানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা, জাপান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়য়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, জাপানের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সুধীজন।

অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি অতিথিদের উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন। বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনকে বাংলার ঐতিহ্যবাহী হিসেবে সাজিয়ে তোলা হয়। মনের মাধুরী মেশানো আল্পনার রঙে রাঙিয়ে দেয়া হয় অতিথিদের আগমন ও অভ্যর্থনা স্থান।

Advertisement

দূতাবাসের দেয়ালে দেয়ালে শোভা পায় আবহমান বাংলায় নববর্ষ উদযাপনের অনন্য উপাদান নানান রঙের মুখোশ। রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা আনন্দঘন পরিবেশে অংশ নেন। এছাড়া মেহেদী রঙে বিদেশি বন্ধুদের হাত রঙিন করার ব্যবস্থা ছিলো। অনেক বিদেশি বন্ধু তাদের হাতে বাংলাদেশি মেহেদী দিয়ে আল্পনা করান পরম আনন্দে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের মহিলা অতিথিদের চুরি এবং টিপ পরিয়ে দেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। আগত অতিথিরা বাংলাদেশের আকর্ষণীয় এই সাজে তাদের মুগ্ধতা ও উচ্ছাস প্রকাশ করেন। তাদের চোখে ছিলো আনন্দ আর তৃপ্তির ঝিলিক।

রাষ্ট্রদূত বিদেশি বন্ধুদের বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী ও বাঙালিয়ানা খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করান। বিভিন্ন রকমের খাবারের মধ্যে ছিলো বাংলাদেশের ইলিশ, পোলাও, গরু ভুনা, জিলাপি, ক্ষীরমোহন, চমচম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশের তৈরি নকশিকাঁথা ও অন্যান্য সামগ্রীর সমাহার নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

এমআরএম/পিআর

Advertisement