বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবের ক্ষেত্রে ডলারের পরিবর্তে এখন থেকে ইউরো ব্যবহার করবে ইরান। ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক বিরোধের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান সরকার। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
Advertisement
গত সপ্তাহে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ভালিউল্লাহ সাইফ বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যে ডলারের স্থলে ইউরো গ্রহণের তার পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি (খামেনি) বলেন- এখন আমাদের লেনদেনে ডলারের কোনো স্থান নেই।
ইরানের এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার হিসেবের ক্ষেত্রে ভিত্তি হবে ইউরো। এর মাধ্যমে সরকারি প্রতিবেদন ও পরিসংখ্যান তুলে ধরার সময় ডলারের কোনো উল্লেখ থাকবে না। বৈদেশিক মুদ্রার উল্লেখের প্রয়োজন হলে ইউরোর মাধ্যমে তা করা হবে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এ ধরনের নিয়ম মেনে চলবে।
নতুন এ ঘোষণার ফলে সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাও ডলারের পরিবর্তে ইউরো ব্যবহারে উৎসাহী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Advertisement
দীর্ঘ দিন ধরেই লেনদেনে ডলার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে আসছিল ইরান। তবে এখনও দেশটির বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক লেনদেন ডলারে হয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরানের সঙ্গে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়। ট্রাম্প হুমকি দেন ইরানের সঙ্গে বিশ্বসম্প্রদায় ২০১৫ সালে যে পরমাণু চুক্তি করেছে তা থেকে তিনি বেরিয়ে আসবেন।
ইরানের জন্য বর্তমানে ডলারে ব্যাংকিং লেনদেন অনেক কঠিন, কারণ আইনগত ঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলো তেহরানের সঙ্গে ব্যবসা করতে আগ্রহী নয়। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়বে যদি তারা ইরানের সঙ্গে ডলারে চুক্তি করে। তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে ইরানের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত ইরানি মুদ্রা রিয়াল ডলারের বিপরীতে তার অর্ধেক মূল্যমান হারিয়েছে।
এমবিআর/এমএস
Advertisement