গবাদি পশুর ওষুধের প্যাকেটের গায়ে বিদেশি নামি-দামি ব্যান্ডের কোম্পানির লেভেল লাগিয়ে নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করে আসছে কয়েকটিটি প্রতিষ্ঠান। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের লাইসেন্সবিহীন এসব প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি অ্যান্টিবায়টিকসহ উচ্চ মাত্রার গবাদি পশুর ওষুধ বাজারজাত করে আসছে।মঙ্গলবার রাজধানীর তুরাগ থানাধীন উত্তরা ১০নং সেক্টর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এভুন পোল্ট্রি ফিড এ অভিযান শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন।এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় উত্তরা ১০নং সেক্টরের তুরাগ থানা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এভুন পোল্ট্রি ফিড এ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় দুই কোটিরও বেশি টাকার অবৈধ ও ক্ষতিকর গবাদি পশুর ওষুধ ও খাদ্য উপাদান জব্দ ও অবৈধভাবে ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও মজুদের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক এ কে এম সাইদ সরোয়ার (৪০) ও ম্যানেজার এ এস এ রশিদ (৬১) আটক করে র্যাব-২ ব্যাটালিয়ন।র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন বলেন, আটকদের অপকর্মের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ১৯৪০ সনের ড্রাগ অ্যাক্টের ২৭ ধারা এবং ২০১৪ সনের মৎস ও পশুখাদ্য আইনের ২০ ধারা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের মালিক এ কে এম সাইদ সরোয়ারকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।একই সঙ্গে ম্যানেজার এ এস এ রশিদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি সীলগালা করে দেয়া হয়েছে।র্যাব-২-এর উপ-পরিচালক ড. দিদারুল আলম বলেন, প্রায় ১২ বছর যাবৎ অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটি ভেজাল ওষুধ তৈরি, মজুদ ও বিদেশি ওষুধের লেভেল ব্যবহার করে নিম্নমানের নিজস্ব ওষুধ বাজারজাত করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটির ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর কর্তৃক ওষুধ ব্যবসা পরিচালনার কোন বৈধ লাইসেন্স নেই।বিষাক্ত ওষুধ গবাদি পশুর মাংশ খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। যার প্রতিক্রিয়ায় মানুষ নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হয় বলেও জানান তিনি।উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ জুলাই খিলগাঁও থানার খাঁন ফার্মায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির ভেজাল ওষুধ উৎপাদনের দায়ে মালিককে গ্রেফতার, জরিমানা এবং কারাদণ্ড প্রদান করা করেছিল।জেইউ/আরএস/পিআর
Advertisement