চলচ্চিত্রের পর্দায় বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে। সেসব চলচ্চিত্র পেয়েছে কালজয়ের খেতাব। সঙ্গে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
Advertisement
এবার রূপালি পর্দায় দেখা যাবে চট্টগ্রাম বন্দরের ঐতিহাসিক অবদান এবং অকুতোভয় বীর বাঙ্গালি নৌ-কমান্ডোদের দু:সাহসী অভিযান। মূলত নৌ-কমান্ডোদের ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নিয়েই আবর্তিত হবে এই ছবির গল্প। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নির্মিত হবে এই চলচ্চিত্র। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রের পান্ডুলিপি লেখক এবং পরিচালক হিসাবে গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার (১৮ এপ্রিল) নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলামের (বীর উত্তম) সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, মো. নূরুল ইসলাম সুজন, এম আব্দুল লতিফ, রণজিৎ কুমার রায়, মমতাজ বেগম এডভোকেট এবং বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন অংশ নেন।
শিগগিরই এই চলচ্চিত্রের নামসহ অন্যান্য শিল্পী-কলাকুশলীদের সম্পর্কে বিস্তারিত ঘোষণা দেয়া হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
Advertisement
এদিকে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ চলছে দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। এতে অপু চরিত্রে ইয়াশ রোহান ও শুভ্রার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমনি। এছাড়াও আছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শাহানা সুমী, শহিদুল আলম সাচ্চু, শিল্পী সরকার, ইরফান সেলিম, ফারহানা মিঠু, ইরেশ যাকের, মুনিয়া, শাহেদ আলী, আহসানুল হক মিনু প্রমুখ। এর কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম নিজেই। এটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের বেঙ্গল ক্রিয়েশনস ও ভারতের বেঙ্গল বারতা। পরিবেশনায় আশীর্বাদ চলচ্চিত্র।
এমএবি/আরআইপি