জাতীয়

মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা ১৮ সেপ্টেম্বর

চলতি বছরে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের (এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্স) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একইদিন একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মেডিকেল কলেজে ভর্তির এ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এ পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৪০। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা ও উন্নয়ন জনশক্তি) আইয়ুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ওজনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে। কিছুদিন পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আরেকটি সভায় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে। আজকের বৈঠকে ভর্তির ক্ষেত্রে নীতিমালা গতবারের মতোই রাখার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণ করা হলেও এখনও পর্যন্ত চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলই প্রকাশিত হয়নি। আগামি ৯ আগস্ট ফল প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক এ বি এম আবদুল হান্নান জাগো নিউজকে বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভর্তি পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একইদিন একই সময়ে গ্রহণ করার জন্য ভেন্যু নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।তিনি জানান, গত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় ৬৮ হাজার ৯শ’ ৮৭ জন অংশ নেয়। ওই সময় তাদের ভেন্যু নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে ২৪ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন। এ কারণে এই বছর আগে থেকেই সুবিধাজনক সময় ও ভেন্যুতে পরীক্ষা গ্রহনের জন্য ফলাফল প্রকাশের আগেই দিনক্ষণ নির্ধারণ করার উদ্যোগ নেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রার ডা. জাহেদুল হক (জেডএইচ) বসুুনিয়া জানান, আজকের বৈঠকেও ভর্তি পরীক্ষার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা করতে হয়। তিনি বলেন, সাধারণত অক্টোবর মাস মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির জন্য খুবই ভাল সময়। কিন্তু ওই মাসের সব শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বহু আগে থেকেই ভেন্যু বুকিং দিয়ে রেখেছেন। বৈঠকে উপস্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা গ্রহণে স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রয়োজনীয় প্রস্তুুতি শেষ করতে না পারলে অক্টোবরের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে পরীক্ষা গ্রহণ করার বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে রাখা হলেও ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকে। যদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে ওই পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দিতে পারেন তবে ওই সময়ে ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে। এ ব্যাপারে অধ্যাপক এ বি এম আবদুল হান্নান বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুুতি নিতে যদিও কষ্ট তবুও তারা ওইদিনই পরীক্ষা নিতে প্রচেষ্টা চালাবেন। তবে ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত দিনক্ষণ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাক্রমে নির্ধারণ করা হবে।  গত বছর মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ নির্ধারণ করা হয়েছিল। অংশগ্রহনকারী প্রায় ৬৭ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২২ হাজার ৭শ’ ৫৯ জন পাশ নম্বর পেয়েছিল। এর ফলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থী পেতে সমস্যা হয়।বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) নেতারা পাশ নম্বর কমিয়ে দিতে দাবি জানিয়ে আসলেও সোমবার পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো প্রকার আলোচনাই হয়নি। একটি সূত্র জানায়, আগামী ৯ আগস্ট এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর ছাত্রছাত্রীদের ফলাফল দেখে এ ব্যাপারে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হলেও হতে পারে।এমইউ/একে/আরআইপি

Advertisement