কৃষি ও প্রকৃতি

বাঙ্গি চাষ করে স্বাবলম্বী চাষিরা

জেলার নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলায় যে দিকে দু’চোখ যায়; সে দিকে কেবলই দিগন্ত জোড়া সবুজ-হলুদের সংমিশ্রণে চৈত্রের বাহারী মৌসুমী ফল বাঙ্গির (ফুট) সমারোহ। প্রায় সাড়ে তিন মাস নিবিড় পরিচর্যার পর মাঠে মাঠে এখন চলছে বাঙ্গি ফল তোলার উৎসব। চাষিদের চোখমুখে এখন হাসির ঝিলিক।

Advertisement

চাষিরা বলেন, ‘এবছর কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবং পোকার উপদ্রব কম থাকায় বাঙ্গির লাভজনক উৎপাদন হয়েছে।’ তাই তো অতুলনগরের চাষিরা খুশিতে আত্মহারা। উৎপাদিত ফসল নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। এ বছর তারা লাভের মুখ দেখবেন। এনজিও থেকে আনা চড়া সুদের ঋণের বোঝাও সহজেই মেটাতে পারবেন।

তবে উৎপাদিত বাঙ্গির বাজার দর না পাওয়ায় কিছুটা শঙ্কিত তারা। চাষি বাশার শেখ (৪৫) জানান, দ্রুত রফতানি এবং পরিবহন ব্যয় বাড়ায় খরচ পুষিয়ে অন্যত্র বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে অনেক ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় বাজারে মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো পেলেও তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে সে দাম দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় আকারের বাঙ্গির দাম ৮০-৯০ টাকা, মাঝারির দাম ৬৫-৭০ টাকা এবং ছোটটির দাম ৫০-৫৫ টাকা।

জানা গেছে, নজিয়ানগরের বালিপাড়ার ৬২ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। নাজিরপুরে প্রায় ১শ’ একর জমিতে আবাদ হয়েছে। পুরো বৈশাখ মাসজুড়ে কৃষদের ফসল তোলা আর বিক্রির মৌসুম। যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা থাকায় ফসল নষ্টের কোনো আশংকা থাকে না তাই কৃষকের মুখে হাসি।

Advertisement

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হেনা মোহাম্মদ জাফর বলেন, ‘বাঙ্গির বাম্পার ফলন দেখে মন জুড়িয়ে যায়। যে কোনো সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত। কৃষকরা একটু পরিশ্রমী হলে বহুমুখী ফসল উৎপাদন করে আরও বেশি সফল হতে পারে।’

হাসান মামুন/এসইউ/আরআইপি