আন্তর্জাতিক

রাত জেগে কাজে বাড়ছে ক্যানসার

যারা রাত জেগে তথা নাইট শিফটে কাজ করেন তাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কারণ, রাত জেগে কাজ করলে অধিক হারে ক্ষরিত হয় ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন৷ ‘ভুল’ সময়ে এই যৌন হরমোনগুলির অতিরিক্ত ক্ষরণের জন্যই অফিসে নাইট শিফটে যারা কাজ করেন, তাদের দুরারোগ্য কর্কট ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি৷অফিসে রাতে কাজ করার সঙ্গে স্তন এবং মূত্রথলির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যে রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন গবেষকরা। কিন্তু সেটা ঠিক কীভাবে, তা নিয়ে কোনও প্রামাণ্য সূত্র পেশ করতে পারেননি৷ এবার বার্সেলোনার পম্পেও ফাব্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সেই অসম্পূর্ণ কাজটিই সম্পূর্ণ করলেন৷ সমীক্ষার মাধ্যমে তারা জানালেন, দাবিটি সত্যি৷ এই সংক্রান্ত পরীক্ষার তারা একশো জনেরও বেশি মানুষের মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন৷ এই নমুনা তাদের কাছ থেকেই সংগৃহীত হয়েছিল, যারা নাইট শিফটে বেশি কাজ করেন৷ ২৪ ঘণ্টা ধরে চলেছিল এই নমুনা সংগ্রহের কাজ৷ এরপর পরীক্ষাগারে তা গবেষণা করে দেখা যায়- বেশিরভাগেরই মূত্রে ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ অতিরিক্ত পরিমাণে বেশি৷ এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন, সকাল দশটা থেকে রাত দু’টোর মাঝামাঝি সময়ে যৌন হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণের হার বেড়ে যায়৷ ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টার সময় আবার তা অনেকটাই কম হয়৷ ‘ভুল’ সময়ে এই ধরনের হরমোনের অধিক ক্ষরণই অফিসে নাইট শিফটে কাজ করা নারী এবং পুরুষদের স্তন ও মূত্রথলীর ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়৷এসএইচএস/পিআর

Advertisement