জাতীয়

বিমানের এমডির মেয়াদ বৃদ্ধি : মন্ত্রীর ক্ষোভ

বিমানমন্ত্রী না চাইলেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) পদে এএম মোসাদ্দিক আহমেদকে তৃতীয়বারের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভায় মোসাদ্দিক আহমেদকে চলতি বছরের ১ জুন থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মে পর্যন্ত এক বছরের জন্য নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

তবে মোসাদ্দিক আহমেদকে তৃতীয়বারের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়ায় সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাজাহান কামাল।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, বিমানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাহেবকে তার পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে, আমি কি তা জানি? আমাকে জিজ্ঞাস করা হয়েছে? হ্যাঁ একবার জিজ্ঞাস করলেও তো অন্তত আমার স্যাটিসফেকশন হতো। যে এমডিকে আগামী এক বছরের জন্য এক্সটেনশন (মেয়াদ বাড়ানো) করা হলো অথচ আমার সঙ্গে অালোচনা করা হলো না। আসলে আমি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের মন্ত্রী, বিমানের নই।

Advertisement

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) আয়োজিত 'ফ্লাইট সেফটি : দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মন্ত্রী এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, মোসাদ্দিক আহমেদ ছাড়াও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ফাইন্যান্স) বিনিত সুধকেও পুনরায় এক বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সূত্রটি বলছে, আসন্ন হজ অপারেশন এবং এ বছরে এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হবে দুটি বিমান। এমন সময়ে বিমান বাংলাদেশে দীর্ঘদিন কাজ করা ব্যক্তি হিসেবে মোসাদ্দিক আহমেদকে প্রয়োজন। নতুন কেউ আসলে এ ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হতে পারে। নির্বাচনী বছরে সরকারে ভাবমূর্তির ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবে না।

চলতি বছরের ৩০ মে মোসাদ্দিক আহমেদের নিয়োগের মেয়াদ শেষ হতো। ২০১৫ সালে বিমানের পরিচালক পদ থেকে অবসরে যান মোসাদ্দিক আহমেদ। সে সময়ে তিনি বিমান বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে বিমানের সহকারী ম্যানেজার পদে কাজ শুরু করেন তিনি। এ সময়ে তিনি মার্কেটিং, কাস্টমার সার্ভিস, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও ফাইন্যান্স বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন।

Advertisement

আরএম/জেডএ/বিএ