বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে জোরালো আন্দোলন আসছে উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এজন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
Advertisement
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হন, এক সঙ্গে চলেন, জোরদার আন্দোলন আসছে।’ সেই আন্দোলনের দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা সামনে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীর মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় একথা বলেন তিনি। ঢাকাস্থ লক্ষীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী সম্মিলিত পরিষদের ব্যানারে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে নেতারা জোরদার আন্দোলন চেয়েছে; দলটির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, অস্ত্র শুধু থাকলেই ব্যবহার করা যায় না, সেটাকে শান দিতে হয়, ধারালো করতে হয়, তাহলে সেটাকে ব্যবহার করা যায়। এখন সেই অস্ত্র শানিত করার সময়। আর ঐক্য হলো সেই শানিত করা।’
Advertisement
সরকারের সমালোচনা করে এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের শাসনামলে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। রিকশাওয়ালা, ছোট দোকানদার পর্যন্ত অতিষ্ঠ। সারা দিনের হালাল উপার্জন পর্যন্ত তারা ভোগ করতে পারে না সরকারের নেতা-কর্মীদের অত্যাচারে। আর প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন না।’'
তিনি আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। আমরা বলি খালেদা জিয়া না, কারাগারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার, আশা আকাঙ্ক্ষা সব কিছু আজ কারারুদ্ধ। দেশের সাধারণ মানুষ এবং যারা বিএনপি করে না তাদেরও আশা আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্র মুক্ত হোক। আর সবাই বিশ্বাস করেন, যিনি বার বার গণতন্ত্রে মুক্ত করেছেন সেই খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে না পারলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল হবে না। ’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আমির আমজাদ মুন্নার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement