খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ব্যাংক, ফ্যাক্টরি ও ভার্সিটির মালিক কি-না খুলনাবাসী জানতে চায়। গত ৯ বছরে তিনি এমন কী ব্যবসা করেছেন যে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাও সাধারণ ভোটাররা জানতে চায়।
Advertisement
বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, চিংড়ির ঘের করে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। আর সেই ব্যবসা করে কী করে খালেক তালুকদার কোটিপতি হন। আর নোংরামি করবেন না, তাহলে তার ফল সুখকর হবে না।
তিনি বলেন, আমি সীমিত আয়ের মানুষ। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। আমি সাত হাজার টাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বাস করছি। ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ বহন করে তার মামারা। এছাড়া আমার ছেলে-মেয়েরা টিউশনি করে তাদের ব্যয় নির্বাহ করে। আমি মংলা বন্দরে গিয়েছি কাজ করতে কিন্তু সেখানে তালুকদার আব্দুল খালেক বাধা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- মঞ্জু কাজ পেলে মংলা বন্দরে জাহাজ আসা বন্ধ করে দেয়া হবে।
Advertisement
নজরুল ইসলাম মঞ্জু আরও বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থাকাকালে তালুকদার আব্দুল খালেক ৭ শত কোটি টাকা রেখে গিয়েছেন বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে তা কোন একাউন্টে ছিল? খালেক পদত্যাগ করার পর ভারপ্রাপ্ত মেয়র হয়েছিলেন আজমল আহমেদ তপন। তিনিও কি বলতে পারবেন এই ৭ শত কোটি টাকা কোন একাউন্টে ছিল। এই সবই অপপ্রচার।
বিএনপির কোনো নেতাকর্মী টেন্ডারবাজি করে না দাবি করে তিনি বলেন, ইউনাইটেড ক্লাবে মাইকিং করে টেন্ডারবাজি করা হয়েছে তা সবাই জানে। তাছাড়া চাপ প্রয়োগ করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন টেন্ডার নিয়েছেন বলেও দাবি করেন মঞ্জু।
কামাল হোসেনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমি খুলনার মানুষ। খুলনায় জন্ম। উদ্বাস্তু নই।
খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের বিষয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সব সময় কর্তা হতে চেয়েছিলেন। তার পরিণাম কি হয়েছে তা খুলনাবাসীর অজানা নয়।
Advertisement
মঞ্জু চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা মাদকের ব্যবসা করে না। টেন্ডারবাজি করে না। চাঁদাবাজি করে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সেকেন্দার জাফর উল্লাহ খান সাচ্চু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মনসুর প্রমুখ।
আলমগীর হান্নান/আরএআর/জেআইএম