হবিগঞ্জে মাদরাসাছাত্র পরিচয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করানোর সময় ৬ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক হোটেল ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনার মূল হোতা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার সেকেন্দারনগর গ্রামের মালিপাড়া এলাকার কালা মিয়ার ছেলে সোয়াদ (১০), একই গ্রামের গিরিপাড়া এলাকার আলো মিয়ার ছেলে জুয়েল (১১), ভোরগাঁও এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (১৬), কুড়েরপাড় এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে নাঈম (৯), সেকেন্দারনগর এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে রেজাউল (১২) এবং বজেন্দ্রপুর গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে বরুজ মিয়া (১৩)।মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র জানান, হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কালুটোলা গ্রামে ৩ শিশু নিজেদের মাদরাসাছাত্র পরিচয় দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করার সময় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। তারা শিশুদের বাহুবল থানায় সোপর্দ করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার মূল বিষয় বেরিয়ে আসে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রিজ এলাকায় এসআর হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে আরো ৩ শিশুকে উদ্ধার ও হোটেলের ম্যানেজার রাসেলকে আটক করেন। উদ্ধারকৃত শিশুরা জানায়, তাদের মাদরাসায় পড়ানোর নামে কিশোরগঞ্জের তারাইল থেকে নিয়ে আসে। কিন্তু শায়েস্তাগঞ্জের এসআর নামে একটি হোটেলে তাদের রেখে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামে ভিক্ষা করানো হয়। সারাদিনের উপার্জিত অর্থ হোতারা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। বেশি অর্থ উপার্জন করতে না পারলে নির্যাতন চলতো তাদের উপর। তবে এ ঘটনার মূল হোতা কিশোরগঞ্জের তারাইল উপজেলার সেকেন্দরনগর গ্রামের এমরান ও শহীদকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ব্যাপারে বাহুবল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল-মামুন বাদী হয়ে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে ৪ জনকে আসামি করে বাহুবল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসএস/পিআর
Advertisement