জাতীয়

বিশ্ব হার্ট দিবস : ফাস্টফুডের বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণের আহবান

হৃদযন্ত্রের অনুকূল পরিবেশ গড়তে টিভি ও রেডিওসহ গণমাধ্যমে ফাস্টফুডের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিয়ন্ত্রণ ও অস্বাস্থ্যকর খাবারে উচ্চহারে কর আরোপের আহবান জানিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। সোমবার বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে হার্ট ফাউন্ডেশনে আয়োজিত সেমিনারে এই আহবান জানানো হয়।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ফাউন্ডেশনের শিক্ষক সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৫২ শতাংশেরও বেশি ঘটছে অসংক্রামক ব্যাধি থেকে। অসংক্রামক ব্যাধিগুলোর মধ্যে আবার শীর্ষে রয়েছে হৃদরোগ। হৃদরোগকে খাদ্যবাহিত রোগ বলা হয়। টিভি ও রেডিতে ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের বিজ্ঞাপন প্রচার নিয়ন্ত্রণ করা, স্বাস্থ্যকর খাবারে উচ্চহারে কর আরোপ এবং স্থানীয়ভাবে ফলমূল ও শাকসবজি উৎপাদনে সহযোগিতা করায় নীতিনির্ধারকদের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।এ ছাড়া তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন ও হৃদরোগের চিকিৎসা সহজলভ্য ও সুলভ করার আহবান জানান তিনি।সেমিনারে প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ব্যস্ততার কারণে স্বাস্থ্যকর নয় জেনেও অনেক অভিভাবককেই ফাস্টফুড বা তেল-চর্বিযুক্ত খাবার টিফিন হিসেবে দিতে হচ্ছে। স্কুল থেকে স্বাস্থ্যসম্মত টিফিন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, দুশ্চিন্তা ও অত্যধিক মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই পরিবার ও সমাজে সবার সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি।ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, ঢাকার বেশির ভাগ মানুষ হয় রেলের বস্তিতে থাকছেন, নয়তো দালানকোঠার বস্তিতে। এর মধ্যেই ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। ছাদে বাগান করা যেতে পারে, বার্গারের বদলে ভেজিটেবল রোল খাওয়া যেতে পারে।ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম স্থূলতা এড়াতে নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, পরোক্ষ ধূমপানে গর্ভস্থ শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হয়। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান আরেক সহসভাপতি আর কে খন্দকার।এ বছর বিশ্ব হার্ট দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘হার্টবান্ধব পরিবেশ গড়ুন, সুস্থভাবে বাঁচুন`।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আব্দুল মালিক।

Advertisement