বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার বড় ধরনের কোনো অসুখ নেই। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নেই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোমর ও হাড়ের জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন। কারাগারে ভালোই আছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বুধবার জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
Advertisement
ওই চিকিৎসক জানান, এক্সরে ও রক্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও করণীয় সম্পর্কে তাদের মতামত তৈরি করেন।
ঢামেক অর্থপেডিক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত মেডিকেল বোর্ডে একজন নিউরোমেডিসিন, মেডিসিন ও ফিজিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসক রয়েছেন। বোর্ড সদস্যরা ১০ এপ্রিল ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিনের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন। পরিচালক প্রতিবেদনটি কারা অধিদফতরে পাঠান। আটদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার ফলোআপ চিকিৎসাসেবা দিতে কারাগার ভিজিটের ডাক পাননি ওই চিকিৎসক। এদিকে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতারা। নেত্রীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না।
বুধবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সরকার। সরকারি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নানা ব্যবস্থার কথা বললেও কারাগারে চিকিৎসা হচ্ছে না। এতেই বোঝা যাচ্ছে সরকারের গভীর চক্রান্ত রয়েছে। খালেদা জিয়ার ফলোআপ চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল বোর্ডের আরেক সদস্য জানান, তিনি কারাগারে আগের চেয়ে সুস্থ রয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তার চিকিৎসা চলছে। এ ব্যাপারে জানতে বোর্ড প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসু্জ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বোর্ড সদস্যরা তাদের মতামত জানিয়েছেন। কারা অধিদফতর থেকে ডাকা হলে তারা সেখানে গিয়ে ফলোআপ প্রতিবেদন করবেন বলে জানান।
Advertisement
এমইউ/এমআরএম/এএইচ/আরআইপি