মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন প্রদেশে দেশটির সেনাবাহিনী ও স্বাধীনতাকামী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। এতে কাচিন প্রদেশের অন্তত দুই হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
Advertisement
প্রদেশের তানাই শহরে আটকে পড়া এই কাচিনরা খাবার ও পানির তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। কাচির ধর্মীয় বিভিন্ন সংস্থা ও সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, কাচিনের অং লাওত গ্রামে কেআইএ’র বিদ্রোহীদের ব্রিগেড-২ এর প্রধান কার্যালয় রয়েছে। এই গ্রামে দেশটির সেনাবাহিনী কেআইএর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করেছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থা, চার্চ ও সম্প্রদায়ের নেতারা তানাই শহরে বাস্তুচ্যুত কাচিনদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক অপারেশ কমান্ড-২ এর কাছে অনুমতি চেয়েছে। তবে সেনাবাহিনী বলছে, উদ্ধারের অনুমতি দেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই।
স্থানীয় এই নেতারা আটকে পড়াদের সহায়তার অনুমতি চেয়ে গত ১২ এপ্রিল কাচিনের মুখমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে তারা এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পায়নি।
Advertisement
তবে অং লাওত গ্রাম থেকে প্রায় এক ঘণ্টার হাঁটাপথ দূরের শাগ্রিবাম গ্রামের কাছে আরো প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এদের প্রায় ৬০ শতাংশই নারী ও ৩০ শতাংশ বৃদ্ধ। স্থানীয় ধর্মীয় ও গোত্রের নেতারা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছেন।
কাচিনের পশ্চিমাঞ্চলের তানাই শহরে গত বছর প্রথম বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই শুরু হয়। তবে সেনাবাহিনী বলছে, কেআইএ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় স্বর্ণ খনি রয়েছে। খনি এলাকা থেকে বিদ্রোহীদের সরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
সূত্র : দ্য ইরাবতি।
এসআইএস/এমএস
Advertisement