বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা ইতোপূর্বেই বলেছিলাম-ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে রাগান্বিত ও ক্ষুদ্ধ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক চাকুরিতে সম্পূর্ণ কোটা প্রত্যাহার করে নেয়া এক ভয়ঙ্কর দুরভিসন্ধির অংশ। এখন এই দুরভিসন্ধির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর সরকারের বিপজ্জনক আক্রমণের ছোবলের মধ্য দিয়ে’।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাঙ্গনে আতঙ্কের ছায়া বিস্তার লাভ করেছে। আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা অজানা আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কাকে কখন অদৃশ্য করা হবে এই ভয়ে তারা দিশেহারা। সরকারের আগ্রাসী বাহিনীর বিষাক্ত থাবা এখন ক্যাম্পাসগুলোতে ঝাপটা মারতে শুরু করেছে’।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘অবৈধ সরকারের অনাচারে বিশ্বাসী আইন-শৃঙ্খলার নানা বাহিনীর আগ্রাসী ছোবল সত্ত্বেও তারুণ্যদীপ্ত ছাত্ররা অতীত ঐতিহ্যের অহংকারে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, ন্যায্য দাবির পক্ষে আপোষহীন পতাকাবাহী হয়ে এগিয়ে চলবে। ছাত্ররাই সব স্বৈরাচারের নির্মম শৃঙ্খলের ব্যারিকেড ভাঙার অগ্রদূত। এরা ৫২ থেকে এখন পর্যন্ত কুৎসিত, কদর্য একনায়কতন্ত্রের হুমকির মুখেও বুক চিতিয়ে বুলেট বরণ করতে প্রস্তুত’।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে স্বৈরশাসকদের যেভাবে পতন হয়েছে, আমাদের দেশের বর্তমান স্বৈরশাসকের পতনও হবে একইভাবে। যা অত্যাসন্ন’।
এদিকে ঝিনাইদহ এবং দিনাজপুর বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে পুলিশ বাধা দিয়েছে অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
এছাড়া মঙ্গলবার রাত ১০টায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা কলেজ শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম রাশেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বংশাল থানা বিএনপি নেতা তাজ উদ্দিন তাইজুকে আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী গ্রেফতার করেছে জানিয়ে তাদের মুক্তি দাবি করেন এই সাবেক ছাত্রনেতা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আব্দুস সালাম, মজিবুর রহমান সরোয়ার, মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
কেএইচ/এমএমজেড/পিআর