দেশজুড়ে

পাইকগাছার চারটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় খুলনার পাইকগাছার হরিঢালী, কপিলমুনি ও গদাইপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এর আগে মাসব্যাপি টানা বর্ষণে চাঁদখালী ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়। এদিকে গত ৩ দিনে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চাঁদখালী স্লুইস গেট থেকে পলি অপসারণ করে পানি সরবরাহের জন্য সচল করা গেলেও জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশন ও ত্রাণ সহায়তায় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন।     জানা গেছে, গত সোম ও মঙ্গলবার ভারী বর্ষণে নতুন করে কপোতাক্ষের উপচে পড়া পানিতে বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি বাজার, হরিঢালী ইউনিয়নের রহিমপুর, নোয়াকাটি, লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া ও গদাইপুর ইউনিয়নের মালোপাড়াসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙে পড়েছে ওড়াবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর আগে এক মাসের ভারী বর্ষণে চাঁদখালী ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।  এ পরিস্থিতি সৃষ্টির বেশ কিছুদিন হলেও জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিস্কাশন ও ত্রাণ সহায়তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। তবে গত ৩ দিনে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চাঁদখালী স্লুইস গেটের বহিরাংশের চরভরাটি পলি অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের পথ কিছুটা সুগম করা হলেও স্থায়ী সমাধানে কপোতাক্ষ নদ খননে কোনো বিকল্প নেই বলে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মুনছুর আলী গাজী জানান।আলমগীর হান্নান/এসএস/পিআর

Advertisement