জাতীয়

দুর্ঘটনার রেকর্ড

বাংলাদেশে সড়ক পরিবহনে দুর্ঘটনার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে ২০১৭ সালে। এত দুর্ঘটনা অন্য কোনো বছরে সংঘটিত হয়নি। ২০১৭ সালে প্রায় ৩ হাজার ৩৪৯টি দুর্ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এ তথ্য জানায়।

Advertisement

এসব দুর্ঘটনায় ওই বছর ৫ হাজার ৬৪৫ জন মানুষ মারা যায়, আহত হয় ৭ হাজার ৯০৮ জন। ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৪ হাজার ১৪৪ জন। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার প্রায় ২৭.৩৬ শতাংশ বেশি।

‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৪৯টি। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালের সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ১০৩৩টি বেশি। এছাড়া আরও অনেক আঞ্চলিক তথ্য অপ্রকাশিত রয়েছে যা কোনো মিডিয়ায় উঠে আসেনি।

সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাসও প্রাইভেটকার দুঘটনা ৯৬৩টি, পণ্যবাহী ট্রাক, মিনি ট্রাক, ইট/বালু/মাটি বহনকারী যানবাহনে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯৪১টি, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৭২০টি, কাভার্ডভ্যান জাতীয় যানবাহনে ১০৭টি এবং অন্যান্য যেমন নসিমন, করিমন, ভটভটি, অটোবাইক, সিএনজি-অটোরিকশা, ইজিবাইক, লেগুনা, টেম্পু, আলমসাধু, মহেন্দ্র, ইঞ্জিনচালিত রিকশা ইত্যাদি অবৈধ যানবাহনের দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬১৮টি।

Advertisement

দুর্ঘটনার বিষয়ে কথা বলা হয় বিআরটিএ-এর রোড সেফটি বিভাগের উপ-পরিচালক সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা বাড়ছে নানা কারণেই। চালকদের অসতর্কতার জন্য যেমন দুর্ঘটনা ঘটছে, তেমনি সাধারণ মানুষের অসাবধানততাও দায়ী। লাইসেন্সবিহীন চালক এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই বড় সমস্যা। তবে বিআরটিএ'র পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে এই দুই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। নানা উদ্যোগও নেয়া হয়েছে ইতোমধ্যে।

এএসএস/ওআর/এমএস