অনলাইন অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সার্ভিস পাঠাও’র বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে নগরের কুমারপাড়াস্থ অফিসে তালা দিয়েছেন রাইডাররা। বকেয়া টাকা ও বোনাস পরিশোধ না করার অভিযোগ এনে গত দুদিন ধরে তারা কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন। রাইডারদের বিক্ষোভের কারণে দুদিন ধরে সিলেটে বন্ধ রয়েছে পাঠাও’র পরিবহন সেবা।
Advertisement
পাঠাও’র নিবন্ধিত রাইডার (চালক) নগরের বাদাম বাগিচা এলাকার বাসিন্দা মো. আজিজুর রহমান বলেন, সিলেটে আমরা দুই শতাধিক মোটরসাইকেল রাইডার পাঠাও’র নিবন্ধিত। পাঠাও এপসের মাধ্যমে আমরা সিলেট শহরে যাত্রীদের সেবা প্রদান করি। আগে পাঠাও কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রত্যেকদিনের পাওনা দিনশেষে পরিশোধ করতো। সম্প্রতি তারা সপ্তাহ শেষে পাওনা পরিশোধ শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, প্রতি রাইডের একটা অংশ প্রদান ছাড়াও প্রতি সপ্তাহেই পাঠাও রাইডারদের জন্য বিশেষ বোনাস অফার প্রদান করে। গত সপ্তাহে তারা অফার দিয়েছিল রোববার হতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাঁচদিনে ৩৫টি রাইড দিলে বোনাস ১৫শ’ টাকা, ৪৫টি রাইড দিলে বোনাস ২ হাজার টাকা এবং ৬৫টি রাইড দিলে বোনাস আড়াই হাজার টাকা প্রদান করবে।
আজিজুর বলেন, এই অফার পেয়ে অনেক চালকই গত সপ্তাহে ৩৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫টি রাইড দেন। কিন্তু পাঠাও কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুত বোনাস প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়। তারা উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে আমরা রাইডের মিথ্যা তথ্য প্রদান করছি বলে অভিযোগ আনে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার থেকে দুই শতাধিক রাইডার সেবা বন্ধ রেখে নগরীর কুমারপাড়ার পাঠাও কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেন। মঙ্গলবারও তারা অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
Advertisement
আল আমিন নামের আরেক রাইডারও বোনাসের টাকা পরিশোধ না করে প্রতারণা করার অভিযোগ করেন পাঠাও’র বিরুদ্ধে। পাওয়া টাকা না পেলে তারা সেবা বন্ধ রাখবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পাঠাওয়ের সিলেট অঞ্চলের ব্যবস্থাপক (পরিচালন) নিদাল মোহাম্মদ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাঠাওয়ের গ্রাহক সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, রাইডারদের সঙ্গে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মঙ্গলবার আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান হয়েছে। সবার বকেয়া টাকা প্রদান করা হচ্ছে। সেবা অব্যাহত আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে সিলেটে যাত্রী সেবা দেয়া শুরু করে স্মার্টফোনের অনলাইন অ্যাপসভিত্তিক মোটরসাইকেল যাতায়াত সেবা ‘পাঠাও’। সিলেটে পাঠাওয়ের দুইশতাধিক নিয়মিত রাইডার (চালক) রয়েছেন।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/এমএএস/এমএস