জাতীয়

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে রাজীবের মৃত্যু

রাজধানীতে দুই বাসের চাপায় হাত হারানোর ১৩ দিন পর মৃত্যু কোলে ঢলে পড়া তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদ্বিপ বিশ্বাস।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে রাজীবের ময়নাতদন্ত শেষে একথা জানান তিনি।

ডা. প্রদ্বীপ বিশ্বাস বলেন, ২২ বছর বয়সী রাজীবের ডানহাত বিছিন্ন ছিল। মস্তিষ্কের হাড় ভাঙা ছিল। হাড়ের নিচে রক্তজমাট ছিল।

তিনি আরও বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি মৃত রাজীব সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্নক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

Advertisement

এর আগে সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় ঢামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা রাজীবের মৃত্যু হয়।

রাজীবের খালা হ্যাপী আকতার জাগো নিউজকে জানান, হাসপাতালে সব প্রক্রিয়া শেষ করে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজীবের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে। সেখানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত করা হবে তাকে।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে গা ঘেঁষে অতিক্রম করে।

এ সময় দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে তার মাথায়ও প্রচণ্ড আঘাত লাগে। দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতালে ও পরে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৪টায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে রাজীব। এরপর ওই দিন সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

Advertisement

এমউই/এমবিআর/পিআর