গত দুই বছর ধরে তিলে তিলে অর্থ জমিয়েছিলেন মিয়ানমারের রাখাইন থেকে ভারতের নয়াদিল্লিতে আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই নেয়া রোহিঙ্গা খুরশিদ আলম (৩০)। ভাড়ায় চালিত অটোরিকশার বদলে নিজের একটি অটোরিকশা কেনার আশায় অর্থ জমান তিনি। কিন্তু তার সেই আশায় গুঁড়েবালি! শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আশ্রয় শিবিরে তার বসবাসের কুঠরিতে ছিল ৯০ হাজারের বেশি টাকা।
Advertisement
দক্ষিণ দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জর ওই শিবিরে রোববার সকালের কয়েক মিনিটে খুরশিদের সব স্বপ্ন পুড়ে গেছে আগুনে। ২৫০ রোহিঙ্গার এই আশ্রয় শিবিরে হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ায় সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
রাখাইন থেকে নয়াদিল্লির আশ্রয় শিবিরে ছয় সন্তান ও স্ত্রীসহ প্রায় দুই বছর ধরে বসবাস করে আসছেন খুরশিদ আলম। তিনি বলেন, এখন তাকে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে; যেভাবে নয়াদিল্লিতে প্রথমবার এসে জীবন-যাপন করেছিলেন।
রোহিঙ্গা শিবিরের অধিকাংশ পুরুষই পেশায় দিনমজুর অথবা ছোট দোকান-পাট চালিয়ে অর্থ জমাতেন। রোববারের আগুন তাদের সবকিছু নিঃশেষ করে দিয়েছে। দক্ষিণ দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জর ওই শিবিরে প্রায় ২৫০ রোহিঙ্গা দুই বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন।
Advertisement
স্থানীয়রা বলছেন, কিছু কিছু পরিবার তাদের জমানো সব অর্থ হারালেও অনেক পরিবার তাদের উপার্জনের শেষ সম্বল হারিয়ে ফেলেছেন। ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের অনেকেই তাদের ঘরে দোকানের খাদ্য-সামগ্রী ও অন্যান্য পণ্য মজুদ করে রাখছিলেন; যা বর্তমানে আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। তবে নয়াদিল্লির পাশের এই রোহিঙ্গা শিবির ছাই হয়ে গেলেও অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসআইএস/এমএস