বাংলাদেশে থ্রি-জি যুগের পর এবার ফোর-জি ইন্টানেটের যাত্রা শুরু হয়েছে। কিন্তু ফোর-জি সাপোর্ট করে এমন হ্যান্ডসেট বাজারে অপর্যাপ্ত। যেগুলো আছে, তার দামও বেশি। এ অবস্থায় দেশে ফোর-জি-র সুবিধা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে আমদানি করা মোবাইলে সেটের উপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এ্যামটব)। সোমবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে আগামী বাজেটে এ বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনের নেতারা। এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এতে সভাপতিত্ব করেন। এসময় এনবিআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় মোবাইল অপারেটরদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
বেসরকারি মোবাইল অপারেটর রবির কর্মকর্তা সাহেদ আলম বলেন, দেশে বর্তমানে মোবাইল সেটের চাহিদা রয়েছে ৩ কোটি। দেশে বর্তমানে কিছু মোবাইল সেট উৎপাদন হয়। এর বাইরে আমদানি করতে হয়। কিন্তু উৎপাদন ও আমদানি মিলিয়ে দেশের বাজারে সেট আসে মাত্র ৭৯ লাখ। এই অবস্থায় ফোর-জি এনারভ বা ফোর-জি নেটওয়ার্ক ব্যবহারে সক্ষম সেট বাজারে কম। যেগুলো আছে, তার দাম একটু বেশি। এই অবস্থায় ফোর-জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে এমন সেটের উপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা উচিত। এতে ফোর-জি প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।
এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য কানন কুমার বালা বলেন, দেশে ফোর-জি নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু গ্রাম-গঞ্জে থ্রি-জিও পাওয়া যায় না। দেশের কতটুকু অঞ্চল থ্রি-জির আওতায় এসেছে বলেন। খুব বেশি আসেনি। এখন শুধু শহরের এলাকার মানুষের জন্য ফোর-জি সেটে সুবিধা চাচ্ছেন। আগে থ্রি-জি ভালোভাবে কভার করেন, এরপর ফোর-জি নিয়ে সুযোগ-সুবিধা চান।
এর প্রেক্ষিতে রবির সিইও মাহতাব উদ্দীন বলেন, একেক মোবাইল অপরারেটর একেকভাবে নেটওয়ার্ক কভার করে। কিন্তু আমি রবির কথা বলতে পারি। আমরা দেশের সব জায়গায় থ্রি-জি পৌঁছে দিয়েছে। এখন ফোর-জি নিয়ে চিন্তা করছি।
Advertisement
সমাপনী বক্তব্যে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি একেবারেই নতুন। শুধু ফোর-জি সাপোর্ট করে এমন হ্যান্ডসেটের উপর শুল্ক প্রত্যাহার করা যেতে পারে। এতে খুব বেশি ছাড় দিতে হবে না। কিন্তু দেশে যারা মোবাইল সেট উৎপাদন করেন, তারা কি বলে সেটা শুনতে হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এমএ/জেএইচ/এমএস