জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। এমন সমীকরণকে সামনে রেখে ফ্রেঞ্চ লিগের দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকোর বিপক্ষে খেলতে নামে পিএসজি। ঘরের মাঠে মোনাকোকে নাস্তানবুদ করে ৭-১ গোলের বিশাল জয়ে ৫ ম্যাচ হাতে রেখেই ফ্রেঞ্চ লিগের চ্যাম্পিয়ন হল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। এর ফলে এক মৌসুম পর আবারও ফ্রেঞ্চ লিগের শিরোপা ঘরে তুললো তারা। শেষ ছয় মৌসুমের ৫টিতেই চ্যাম্পিয়ন প্যারিসের এই দলটি।
Advertisement
মোনাকোর বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকে চড়াও হয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই লো সেলসোর গোলে এগিয়ে যায় তারা। ডি বক্সের ডান পাশ থেকে দানি আলভেজের বাড়ানো বলে পা ছুইয়ে সেটিকে গোল রূপান্তর করেন আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার। ১৭ মিনিটে আবারও পিএসজির গোল। এবার গোলদাতার তালিকায় নাম লেখান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি। লিগে এটি পিএসজির ১০০তম গোল। এই গোলের ফলে ইব্রাহিমোভিচের পিএসজির হয়ে লিগে করা ১১৩ গোলের মাইলফককে স্পর্শ করলেন তিনি।
কাভানির গোলের তিন মিনিট পরেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। কাভানির কাছ থেকে বল পেয়ে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে আলতো করে ট্যাপ ইনে গোল করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ডি মারিয়া। ২৭ মিনিটে পিএসজির হয়ে চতুর্থ এবং নিজের ২য় গোল করেন লো সেলসো। ৪-০ গোলে পিছিয়ে পরেও মনোবল হারায় নি মোনাকো। ৩৮ মিনিটে রনি লোপেজের সহায়তায় এক গোল শোধ দেয় তারা।
বিরতি থেকে ফিরেও চলে পিএসজির আক্রমণ। ৫৮ মিনিটে পাস্তোরের সহায়তায় ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ডি মারিয়া। ৫-১ গোলে এগিয়ে থেকেও বল দখলে মোনাকোর থেকে যোজন যোজন এগিয়ে থাকে পিএসজি। ৭৬ মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় নেইমারের দল। এবার মোনাকোর স্ট্রাইকার ফ্যালকাও নিজেদের জালেই বল পাঠান। আত্মঘাতী গোলের সুবাদে ৬-১ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি।
Advertisement
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ড্রাক্সলারের গোলে ৭-১ গোলের বড় জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। সপ্তম শিরোপা জয়ের মৌসুমে ৩৩ ম্যাচে ২৮ জয়, ২ হার এবং ৩ ড্রতে ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে এখনও দ্বিতীয় স্থানে থাকার লড়াই করছে মোনাকো।
আরআর/এমবিআর