গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকাগামী জামালপুর কম্পিউটার ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) গিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সময় সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার একেএম নাসির উদ্দিন।
Advertisement
রেল মন্ত্রণালয় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। এছাড়া নিহতদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে চারজন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে টঙ্গী রেল স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঢামেক হাসপাতাল থেকে জাগো নিউজের প্রতিবেদক জানান, টঙ্গীতে ওই দুর্ঘটনার পর দুপুর দেড়টার দিকে আহত ছয়জনকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে শাহদাত হোসেন (৩৫) নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন কর্তব্যরত ডাক্তাররা। শাহদাত হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহ।
Advertisement
এছাড়া বাকি পাঁচজন হলেন- বাদল (২৮), সবুজ (৪০), ইসরাফিল (১২), আলমগীর (৩২) এবং ফরিদ (২৮)। ডাক্তারের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
নিহত বাদলের ভাগনে আমিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা (বাদলসহ) একই ট্রেনে ঢাকা আসতেছিলাম। তবে টঙ্গীর কাছে ট্রেনটি দুর্ঘটনা কবলিত হলে মামা লাফ দিয়ে নিচে নেমে যান। তখনি তিনি আহত হয়। মামা (বাদল) পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে কমলাপুর রেল স্টেশনের (জিআরপি) ওসি ইয়াসিন ফারুক জানান, ক্রসিংয়ের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা আতঙ্কে ছাদ থেকে লাফ দিলে ট্রেনে কাটা পড়েন।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিক জানান, লাইন পরিবর্তনের সময় ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেনের পেছন থেকে পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তখন আতঙ্কিত হয়ে ছাদ থেকে অনেকে লাফিয়ে পড়েন। ১০ থেকে ১৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Advertisement
এমআরএম/পিআর