দেশজুড়ে

দুদকের মামলায় আসামি এলিট গ্রুপের তিন কর্তা

কর ফাঁকির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় এলিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সুপার রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আহমেদ,তার স্ত্রী লুৎফুন্নেছা আহমেদ ও পুত্র সাজির আহমেদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।সোমবার দুদকের উপ পরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২) মির্জা জাহিদুল আলম বাদী হয়ে এ মামলাগুলো দায়ের করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক এ তিনটি মামলার অনুমোদন দেয় কমিশন। মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে কনডেনসেট (গাদ জ্বালানি ) বিক্রি করে সরকারের প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছর থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছর পর্যন্ত তিন বছরে মোট ৩ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭৪ টাকার কর ফাঁকি দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।বায়েজিদ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মানষ বড়ূয়া মামলা তিনটি রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা পরস্পরের যোগসাজশে সরকারের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করে অসাধু মনোভাব নিয়ে কর ফাঁকি দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছে।জানা গেছে, সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বিদেশ থেকে জ্বালানি তেলের কাঁচামাল আমদানি করে তা পরিশোধন করে সরকারের জ্বালানি তেল বিক্রয় কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করার কথা ছিল।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধণের ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশের বেশি অপচয় দেখানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে অযৌক্তিকভাবে পাঁচ শতাংশের বেশি অপচয় দেখিয়ে অতিরিক্ত অপচয়ের অংশের পরিশোধিত তেল খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। এ অতিরিক্ত তেলের নির্ধারিত করও ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।অনুসন্ধানে কর ফাঁকির তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পরপরই মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানায় দুদক সুত্র। এছাড়া ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৩৬ লাখ ২৭ হাজার ৯৫০ লিটার কনডেনসেট পরিশোধনে ২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৩১৮ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে কোম্পানির এমডি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।২০০৯-১০ অর্থবছরে একইভাবে ২২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৯ লিটার কনডেনসেট পরিশোধণের ক্ষেত্রে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩ হাজার ৯৬৬ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে কোম্পানির এমডি সেলিম আহমেদ, চেয়ারম্যান লুৎফুন্নেছা আহমেদ ও কোম্পানির পরিচালক সেলিম আহমেদের ছেলে সাজির আহমেদকে অন্য আরেকটি মামলায় আসামি করা হয়।এসকেডি/পিআর

Advertisement