ভারতের দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস আল্লামা সালেম কাসেমি গতকাল স্থানীয় সময় ৩টায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
Advertisement
আল্লামা সালেম কাসেমি বেশ কিছুদিন ধরে গুরুত্বর অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
গত শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থা অস্বাভাবিকভাবে খারাপ হয়ে পড়ে। অবশেষে গতকাল তার শ্বাসকষ্ট প্রচণ্ডভাবে বেড়ে যায়। আর বিকাল ৩টায় শ্বাস ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।
আল্লামা সালেম কাসেমি ১৯২৬ সালের ৮ জানুয়ারি ভারতের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দ এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। ঐতিহ্যবাহী কাসেমি পরিবারেই তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। অতপর তিনি ভারতের দারুল দেওবন্দেই ধারাবাহিকভাবে শিক্ষাগ্রহণ শেষ করেন।
Advertisement
১৯৪৮ সালে তিনি দেওবন্দ থেকে পড়ালেখা শেষ করেন। পড়ালেখা শেষে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দেই শিক্ষকতা শুরু করেন।
তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা কাসেম নানুতবি রহমাতুল্লাহির নাতি এবং হজরত মাওলানা কারি তৈয়্যব রহমাতুল্লাহি আলাইহির ছেলে।
১৯৮২ সালে দারুল উলুম দেওবন্দে এখতেলাফ শুরু হলে তিনি তার বাবা খতিবে ইসলাম আল্লামা তৈয়্যব রহমাতুল্লাহির সঙ্গে ওয়াকফ দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা ভূমিকা রাখেন। অতঃপর মুহতামিম ও শায়খুল হাদিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একাধিক দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আর তাহলো- অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ডের সহ-সভাপতি, দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের প্রধান মুরব্বি ও শুরা প্রধান, মাজাহিরে উলুম সাহারানপুরের শুরা সদস্য, আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি কোর্টের শুরা সদস্য, কুলহিন্দ রাবেতায়ে মসজিদের পৃষ্ঠপোষক, ইসলামিক ফিকহ একাডেমি ইন্ডিয়ার পৃষ্ঠপোষক।
Advertisement
ইসলামের নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ মিসরের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ‘বিশেষ আলেম’ পদবি লাভ করেন, এছাড়াও তিনি হুজ্জাতুল ইসলাম কাসেম নানুতবি অ্যাওয়ার্ড, হজরত শাহ ওয়ালি উল্লাহ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের উস্তাদগণ, মূল দেওবন্দের উস্তাদগণসহ ভারতের বহু ওলামায়ে কেরাম৷ আল্লাহ তাআলা ইলমে দ্বীনের এ খাদেমকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস