বিয়ে একটি ধর্মীয় রীতি। এতে সামাজিক বন্ধন সৃষ্টি হয়। যুগ যুগ ধরে নারী-পুরুষকে এক ছাদের নিচে বসবাস করাতে এই রীতি প্রচলিত হয়ে আসছে। বিয়ের ফলে স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কও বৈধ বলে গণ্য হয়। শুধু তা-ই নয়, এ সম্পর্ক উভয়ের জন্যই সুফল বয়ে আনে। এ ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট। আসুন জেনে নেই ওয়েবসাইটটি কী বলছে-
Advertisement
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবিয়ের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। যার ফলে দম্পতির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
নারীর মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণস্বাভাবিক যৌনজীবন নারীর মূত্রাশয়ের মাংসপেশীকে সক্রিয় রাখে। বিশেষ করে ‘অর্গাজমের’ সময় ‘পেলভিক ফ্লোরের’ মাংসপেশী সংকুচিত হয়, যা একটি ভালো ব্যায়ামও বটে। কারণ প্রায় ৩০ শতাংশ নারীর কোনো না কোনো সময় মূত্রাশয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
রক্তচাপ কমায়নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে রক্তচাপ কমে বলে মনে করেন গবেষক জোসেফ জে. পিনসন। গবেষণা বলছে, শারীরিক সম্পর্ক রক্তচাপ কমায়।
Advertisement
ব্যায়ামনিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে প্রতি মিনিটে পাঁচ ক্যালোরি খরচ হয়। গবেষকরা জানান, শারীরিক মিলনে দু’ধরনের উপকার পাওয়া যায়। এক. হৃদকম্পনে গতি আনে, দুই. একই সঙ্গে অনেক মাংসপেশীকে সক্রিয় করে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নেই শারীরিক সম্পর্ক হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারি। হার্ট রেট ভালো রাখার পাশাপাশি ‘এস্ট্রোজেন’ এবং ‘টেস্টোস্টেরনের’ মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষকরা জানান, যারা সপ্তাহে অন্তত দু’দিন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তাদের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর আশঙ্কা কম।
ব্যথা কমায়ব্যথা কমাতে ‘অর্গাজম’ বেশি কার্যকর। অধ্যাপক বেরি আর. কমিসারুক জানান, অর্গাজম ব্যথা বন্ধ করতে পারে। কারণ এতে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা শরীরের ব্যথা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ঘুম শারীরিক সম্পর্কের পর দ্রুত ঘুমাতে পারবেন। কারণ অর্গাজমের সময় যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা দেহকে শিথিল করে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে।
Advertisement
মানসিক চাপ কমে সঙ্গীর ঘনিষ্ঠতা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পারে। গবেষকরা জানান, সুস্থ জীবনের জন্য শারীরিক ঘনিষ্ঠতা অত্যন্ত জরুরি।
এসইউ/এমএস