গ্রিন টি-তে রয়েছে ফ্লেভোনয়েড নামক একটি উপাদান, যা আসলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা এমন একটি শক্তিশালী উপাদান যা সব দিক থেকে শরীরকে চাঙ্গা রাখে।
Advertisement
শুধু তাই নয়, একাধিক মারণ রোগকে দূরে রাখতেও এই পানীয়টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই তো আজকাল গ্রিন টির এত জনপ্রিয়তা।
প্রসঙ্গত, কেটেচিন নামেও একটি উপদান থাকে এই চায়ে, যা ভিটামিন ই এবং সি-এর থেকেও বেশি শক্তিশালী, যা শরীরে প্রবেশ করে একাধিক উপকারে লেগে থাকে।
১. ওজন কমায়: এই চায়ে এমন কিছু উপাদান আছে যা হজম প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, গ্রিন টিয়ে উপস্থিত কেটাচিন পেটের মেদ ঝরাতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে নিয়মিত গ্রিন পান করতে ভুলবেন না যেন!
Advertisement
২. শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: প্রতিদিন সকালে গ্রিন টি পান করলে শরীরের স্টেমিনা তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাই তো পুরো দিন ধরে শরীর চনমনে থাকে। ফলে কর্মক্ষমতা চোখে পরার মতো বাড়ে। প্রসঙ্গত, সারা দিন ধরে যদি কয়েকবার এই চা পান করা যায়, তাহলে আরও বেশি উপকার মেলে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: যারা অ্যালার্জিতে খুব ভোগেন তাদের তো এই চা নিয়মিত পান করা উচিত। কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গ্রিন টির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আর একথা তো সবারই জানা যে একবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটলে অ্যালার্জির মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
৪. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে পালায়: গ্রিন টিতে উপস্থিত ইজিসিজ নাম উপাদানটি ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ক্যান্সার রোগকে যদি দূরে রাখতে হয়, তাহলে গ্রিন টির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেই হবে।
৫. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে: স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গ্রিন টি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। সেই সঙ্গে অ্যালার্টনেসও বাড়াতেও এই পানীয়টি বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই কারণেই তো সকাল-বিকাল এই চাটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
Advertisement
৬. হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে: প্রতিদিন গ্রিন খেলে হার্ট কিন্তু খুব ভালো থাকে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে উচ্চ রক্ত চাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪৬-৬৫ শতাংশ কমে যায়।
৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে: নিয়মিত ২-৩ কাপ করে গ্রিন টি খাওয়া শুরু করলে শরীরে রক্তের প্রবাহ এতো মাত্রায় বেড়ে যায় যে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগে না। তাই আপনার পরিবারে যদি এই রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে প্রতিদিন ডায়েটে গ্রিনটি অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!
৮. ডায়াবেটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমে: সারা বিশ্বের মধ্যে আমাদের দেশ ডায়াবেটিস ক্য়াপিটালে পরিণত হয়েছে। তাই তো এমন পরিস্থিতিতে যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে গ্রিনটির সাহায্য নিতে ভুলবেন না যেন! আসলে এই পানীয়টির ভেতর থাকা একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন মেটাবলিক ফাংশনের উন্নতি ঘটায়, তেমনি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
এএ