সাংস্কৃতির রাজধানী খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দীর্ঘদিনেও গড়ে উঠেনি কোনো বিনোদন পার্ক। এ নিয়ে বিনোদনপ্রেমিদের অভিযোগের অন্ত নেই। তবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় জেলা শহরের কান্দিপাড়াস্থ তিতাস নদীর পাশে গড়ে ওঠেছে ‘গাঁও গেরাম রেস্তরা ও বিনোদন পার্ক’। এ বিনোদন পার্কটিকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন জেলার বিভন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভিড় জমাচ্ছেন তিতাস নদীর পাড়ে। পড়ন্ত বিকেলে নদীর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা। ঈদের ছুটি শেষ হয়ে গেলেও এখনো পরিবার-পরিজন নিয়ে গাঁও গেরাম রেস্তরা ও বিনোদন পার্কে ঢু মারছেন দর্শনার্থীরা। সোমবার বিকেলেও গাঁও গেরাম রেস্তরা ও বিনোদন পার্কে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।‘গাঁও গেরাম রেস্তারা ও বিনোদন পার্ক’ এ শিশুদের জন্য রয়েছে দোলনা ও স্লিপিং রাইড। আরো বেশ কয়েকটি রাইড বসানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই পার্কে চলে দর্শনার্থীদের আনাগোনা। তবে বিকেলের দিকেই সবচেয়ে বেশি ভিড় জমান বিনোদনপ্রেমিরা। অনেকেই পার্কের পাশে ছাউনি তলায় বসে পড়ন্ত বিকেলে তিতাস নদীর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করেন।পার্কে আসা কয়েকজন দর্শনার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে কোনো বিনোদন পার্ক নেই। তাই তিতাস নদীর পাড়ে নাগরিক কোলাহলমুক্ত পরিবেশে গড়ে ওঠা গাঁও গেরাম রেস্তরা ও বিনোদন পার্কে এসে তারা ভিড় জমান।এখানকার প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে অভিভূত হন তারা। তবে সরকারিভাবে যদি তিতাস নদীর পাড়টিকে সংরক্ষণ করে এর সৌন্দর্যবর্ধন করা হয় তাহলে এটি বিনোদনপ্রেমিদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ‘পিকনিক স্পট’ হিসেবে পরিণত হবে বলে মনে করছেন তারা।গাঁও গেরাম রেস্তারা ও বিনোদন পার্কের সত্ত্বাধিকারী মো. জাবেদ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জন্য শহরে বিনোদনের কোনো স্থান নেই। তাই বিনোদনপ্রেমিদের কথা চিন্তা করে তিতাস নদীর পাড়ে নিরিবিলি পরিবেশে গাঁও গেরাম রেস্তরা ও বিনোদন পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। আমাদের এ পার্কে রয়েছে উন্নতমানের সব ফাস্ট ফুড, শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা। এছাড়াও পার্কের দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তিতাস নদীর পাড়ে বেরিবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে নদীর সৌন্দর্য আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নদীর পাড়ে বসে সবাই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন। তিনি আরো বলেন, পৌরবাসীর বিনোদনের জন্য শহরের পুরাতন জেলখানার খালি জায়গায় একটি শিশু পার্ক নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমজেড/পিআর
Advertisement