দেশজুড়ে

বন্ধুরাই হত্যা করেছে রবিউলকে, অভিযুক্ত আটক

যশোরের অভয়নগরে রবিউল (২২) হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঘাতক আরিফকে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে। আরিফকে আটকের পর পুলিশ ঘটনায় ব্যবহৃত চাপাতিও উদ্ধার করেছে। ছিনতাই ও মাদক নিয়ে বিরোধের জের ধরে আরিফসহ আরও কয়েকজন বন্ধু মিলে রবিউলকে হত্যা করে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রবিউল উপজেলার বুইকরা গরুহাটা এলাকার মৃত আক্কাস মোল্যার ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অভয়নগর উপজেলার আকিজ জুট মিল সংলগ্ন রেল লাইনের পাশ থেকে রবিউল নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে আরিফ নামের একজনকে মণিরামপুর থেকে আটক করে। আটক আরিফ অভয়নগর উপজেলার তালতলা রেল বস্তির আলি হোসেন সরদারের ছেলে ও নিহত রবিউলের বন্ধু।

শুক্রবার আরিফের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ির বাথরুমের মধ্যে থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে। বিকেলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

Advertisement

আটক আরিফ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারই বন্ধু রবিউলকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে আকিজ জুট মিলের পেছনে তার বাসার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সে ও তার তিন বন্ধু।

অভয়নগর থানা পুলিশের ওসি শেখ গণি মিয়া জানান, নিহত রবিউল ও আটক আরিফসহ তার বন্ধুরা ছিনতাই মাদক-সেবনসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড করে বেড়াতো। এসব নিয়ে বিরোধের জের ধরে আরিফ ও তার বন্ধুরা রবিউলকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ তৎপর হয়ে প্রধান অভিযুক্তকে আটক এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে। পুলিশ বাকি অভিযুক্তদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

মিলন রহমান/এমএএস/পিআর

Advertisement