সিলেটে নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় ডিএমটি সেফওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় দুইজন প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
প্রসূতিরা হলেন, সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার কল্লোগ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী আসমা বেগম (২৩) এবং সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের চোলাহাটি গ্রামের ব্যবসায়ী রুবেল হোসেনের স্ত্রী ফয়জুন নাহার চৈতি (২১)।
আসমা বেগম শুক্রবার সকাল ৭টায় এবং ফয়জুন নাহার চৈতি সকাল পৌনে ৯টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
ডিএমটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকাল ৯টার দিকে ফয়জুন নাহার চৈতিকে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আসমা বেগম এবং ফয়জুন নাহার চৈতি দুজনেই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে সুস্থ অবস্থায় দুটি সন্তানের জন্ম দেন। পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ও সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মিনতি সিনহা তাদের সিজার অপারেশন করেন। তবে জন্ম নেয়া বাচ্চা দুটি সুস্থ আছে।
ভোরে প্রায় একই সময়ে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অবস্থা খারাপ দেখে রোগীদের স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার চিকিৎসকের জন্য ধর্ণা দিলেও সেখানে কোনো চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের দায়িত্বরত যারা ছিলেন তারা ‘চিকিৎসক আসছেন, আসবেন’ বললেও বাস্তবে কোনো চিকিৎসক আসেননি।
প্রসূতি আসমা বেগমের পরিবারের দাবি- ভোরেই আসমার মৃত্যু হয়। এদিকে এই মৃত্যুর সংবাদে ভীত হয়ে পড়েন চৈতির পরিবারের লোকজন। তার অবস্থাও ধীরে ধীরে অবনতি হওয়ায় ডিএমটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা তাকে নিয়ে যান নগরের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে এই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক চৈতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাগীব রাবেয়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, মৃত অবস্থায়ই চৈতিকে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
Advertisement
দুই প্রসূতির সিজারকারী চিকিৎসক মিনতি সিনহা বলেন, আমি রাতে ওই দুজনের সিজার করেছি। সিজারের পর তাদের দুজনকেই সুস্থ অবস্থায় রেখে এসেছি। সকালে হঠাৎ করে কি হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে ডিএমটি হাসপাতালের পরিচালক লিয়াকত হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ঘটনার পর পরই হাসপাতাল থেকে সটকে পরেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/পিআর