শেষ তিন ওভারে সানরাইজার্সের রান প্রয়োজন মাত্র ১৪। অর্থাৎ ১৮ বলে ১৪। খুবই সহজ হিসাব। উইকেটে তখন সেট হয়ে গেছেন ইউসুফ পাঠান আর দীপক হুদা। কোনো বড় শট খেলছিলেন না তারা। শুধু সিঙ্গেলসের ওপর ছিলেন। এভাবেই সহজ জয়ের পথ রচনা হবে হয়তো।
Advertisement
১৮তম ওভার করার জন্য জসপ্রিত বুমরাহর কাছে বল দিলেন রোহিত শর্মা। প্রথম দুই বলে এক এক করে দুই রান নিল পাঠান এবং হুদা। এরপর ওভারের তৃতীয় বলেই বুমরাহকে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন ইউসুফ পাঠান। বিপর্যয় শুরু হলো তখনই। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিলেন বুমরাহ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ। কিন্তু তা না হলেও শেষ বলে রান দিলেন না তিনি। এক ওভারেই ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বুমরাহ।
১৯তম ওভার করার জন্য বল তুলে দেয়া হলো মোস্তাফিজের হাতে। প্রথম বলে দীপক হুদা নিলেন ১ রান। এরপর ৫টি বল টানা ডট। এরই মধ্যে মোস্তাফিজ নিলেন দুটি উইকেট। তারওপর সিদ্ধার্থ কাউলকে নিজের হাতেই রিটার্ন ক্যাচ বানালেন মোস্তাফিজ। এক হাতেই ক্যাচটি ধরলেন তিনি।
এক বল বিরতি দিয়ে ওভারের শেষ বলে সন্দ্বীপ শর্মাকে ফিরিয়ে দিলেন কাটার মাস্টার। চমৎকারভাবে পুরো ম্যাচটি যেন মুম্বাইয়ের হাতে তুলে দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৯তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট। যে মোস্তাফিজ প্রথমে ২ ওভারের স্পেলে দিয়েছিলেন ২০ রান, তিনি শেষে ডেথ ওভারে গিয়ে দিলেন মাত্র ৪ রান। খেলা তো ওখানেই ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
Advertisement
কিন্তু শেষ ওভারের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারলো না মুম্বাই। শেষ ওভারে বেন কাটিংয়ের কাছ থেকে ১৪ রান নিয়ে হায়দরাবাদকে জয় এনে দিলেন দীপক হুদা এবং বিলি স্ট্যানলেক। মোস্তাফিজ-বুমরাহর পরিশ্রমি বোলিং কোনো কাজেই আসলো না।
আইএইচএস/বিএ