বিনোদন

নিজেকে নিয়ে যা বললেন হ্যাপি

এমনিতেই হ্যাপিকে নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। ক্রিকেটার রুবেলের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে সমালোচনার পাত্র হয়েছেন বহুবার। অনেকেই বলে থাকেন রুবেলের কারণেই হ্যাপির এতো পরিচিতি। তবে হ্যাপিরও যে একটা ব্যক্তিত্ব আছে সেটা হ্যাপি নিজেই জানিয়ে দিলেন। হ্যাঁ সোমবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিলেন তার কতটা পরিচিতি। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো।‘আমি জানি “নাজনীন আক্তার হ্যাপী” একটি বিতর্কিত নাম। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আমাকে নিয়ে সবসময় আলোচনা-সমালোচনা চোখে পড়ার মতো। সাধারণ মানুষ থেকে মডেল, ফেসবুক মডেল, অনেক টিভি অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেকেই আমাকে নিয়ে অদ্ভুত সব প্রশ্ন তোলেন। আজ সেসব বিতর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই।প্রশ্ন : হ্যাপী কিসের নায়িকা?উত্তর : আমি সিনেমার নায়িকা। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত আমার ছবি মুক্তি পেয়েছে। সারা বাংলাদেশে সগৌরবে আমার ছবি চলেছে। সাধারণ মানুষ তাদের কষ্টের টাকা দিয়ে টিকিট কেটে আমার অভিনয় দেখেছে। ছবি ব্যবসাও করেছে।কাজের অভিজ্ঞতা : বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনেক বড় বড় তারকাদের সহশিল্পী হিসাবে পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। উদাহরণ- শাবনূর, মৌসুমী, শাকিব খান, ফেরদৌস, অমিত হাসান, আনিসুর রহমান মিলন, ইলিয়াস কোবরা, আলিরাজ, রেহানা জলি, সূচরিতা, টাইগার রবি আরো অনেকে। এই মুহূর্তে সবার নাম মনে করতে পারছি না। আমার যোগ্যতা আর মেধা না থাকলে এত বড় বড় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সম্ভব ছিল না।এবার আসি খবরের শিরোনামে আসার কথা : আমার প্রথম ছবির জন্যই আমি খবরের শিরোনামে এসেছিলাম। শুধু নায়িকা হিসাবেই পত্রিকা, ম্যাগাজিন, টেলিভশনেও বহুবার সাক্ষাৎকার দিয়েছি।অনেকেই বলেন হ্যাপীকে কে চেনে?উত্তর : আমি নিজেই চেনার সুযোগ রাখিনি। যে যেই কাজে যুক্ত সেটা যদি সেখানে নিয়মিত না থাকে তাকে কেউই মনে রাখবে না। একটা সময় ভুলে যায় এটা খুব স্বাভাবিক। আমার প্রথম ছবি মুক্তি পায় ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখ। তারপর দ্বিতীয় ছবি শেষ হয় ২০১৪ সালের শুরুতে। তারপর আমি পুরো বছরই এই জগতের সম্পূর্ণ বাইরে ছিলাম। প্রেমে অন্ধ ছিলাম। এবং তারপরই আমার ভালোবাসার মানুষের কথা রাখতে সব ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারকা হওয়ার ইচ্ছা কখনো ছিল না। এখনো নেই, সখ ছিল করার ভাগ্যও হয়েছিল।শোবিজের যারা, তারা তার অবস্থানে উপস্থিত না থাকলে কেউই মনে রাখে না। হতে পারে অভিনেতা-অভিনেত্রী, কণ্ঠশিল্পী, ক্রিকেটার, ফুটবলার ইত্যাদি। সব ধরনের তারকার জীবনই এমন। যারা অনেক ভালো কিছু করে তাদের নিয়ে হয়তো মাঝে মাঝে কেউ কেউ বলবে “ঐ অভিনেতা-অভিনেত্রীকে খুব ভালো লাগতো, ঐ ক্রিকেটার খুব ভালো খেলতো” আর জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকীতে ছোটখাট নিউজ হবে, এটা এই পর্যন্তই। সবাই বর্তমান নিয়ে ব্যস্ত থাকে।আমি কাজই করেছি কম। অল্পদিনের ক্যারিয়ার। তারপর প্রেমের কারণে কাজ করা হয়নি। মনে রাখার মতো কিছু করিনি, কেউ কেউ হয়তো অভিনেত্রী হ্যাপীকে মনে রেখেছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি আমার কাজ নিয়ে সিরিয়াস নই। আর ফেমাস হওয়ারও বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। আমি খুবই সাধারণ।আমি সাংবাদিকের বলতে যাই না আমার নিউজ করেন। আমার ফেসবুকে কোনো লেখা যদি কেউ নিউজ করে তাহলে আমার কিছুই করার নেই। এজন্য তো আমার ফেসবুক বন্ধ করে দিতে পারবো না! আর কেন আমার ফেসবুকে কিছু লিখবো না? আমার যা খুশি তাই লিখবো এটা আমার ইচ্ছা। আমি সাধারণ মানুষ, নিজেকে তারকা ভাবার প্রশ্নই আসে না। আর যদি কোনোদিন তারকা হইও তবুও আমি যেমন সাধারণ, তেমনি থাকবো। এমন কিছু হয়নি যে, আমার স্বাধীনতা আমি হারিয়ে ফেলবো! আমিও সবার মতোই তবে আমার একটু বেশি আবেগ আর কিছু না।’ (সামান্য পরিমার্জিত)বিএ

Advertisement