মানুষের মাঝে পাস্পরিক ঝগড়া-বিবাদ ও সামাজিক বিপর্যয়মূলক কাজ মারাত্মক সর্বনাশা কাজ। ঝগড়া-বিবাদ, দ্বন্দ্ব-কলহ সমাজের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
Advertisement
ঝগড়া-বিবাদের ফলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। এ কারণে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ঝগড়া-বিবাদ, দ্বন্দ্ব-কলহ থেকে বিরত থাকতে নসিহত করার পাশাপাশি মীমাংসাকারীর জন্য পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করেছেন।
কুরআন এবং হাদিসে ঝগড়া-বিবাদে জড়িত লোকদের মাঝে আপোষ-মীমাংসা বিধানে সহযোগীদের উচ্চ মর্যাদা এবং প্রতিদান প্রদানে সুস্পষ্ট ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের অধিকাংশ শলা-পরামর্শ ভালো নয়; কিন্তু যে শলা-পরামর্শ দান-সহযোগিতা করতে কিংবা সৎ কাজ করতে অথবা মানুষের মধ্যে সুসম্পর্ক বা সন্ধিস্থাপনে করে তা স্বতন্ত্র। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে একাজ করে, আমি তাকে বিরাট প্রতিদান দেব।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১১৪)
Advertisement
হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিবাদ মিমাংশাকারীর জন্য ঘোষণা করেন-
হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি তোমাদেরকে রোজা, নামাজ ও দান-সহযোগিতার চেয়ে উত্তম কাজের সংবাদ দেব না? তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম) বললেন, ‘হ্যাঁ’, তিনি বললেন, তাহলো- মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদের মিমাংশা করা। মানুষের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা মারাত্মক সর্বনাশা কাজ।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)
উল্লেখিত আয়াত এবং হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, পরস্পরের মাঝে বিরাজমান ঝগড়া-বিবাদ মিমাংশায় রয়েছে সাওয়াব এবং পুরস্কার। সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে উত্তম ও ইবাদতের কাজ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে সমাজের প্রতিটি পর্যায়ে পরস্পরকে সব ধরনের ঝগড়া-বিবাদ-দ্বন্দ্ব-কলহ থেকে বিরত থাকার এবং বিরত রাখার তাওফিক দান করুন। ঝগড়া-বিবাদ ঘটলে তা সমাধানে এগিয়ে আসার এবং ঘোষিত পুরস্কার লাভের তাওফিক দান করুন। সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/পিআর