মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক প্রশাসন গড়ার স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি। স্পেশাল নিয়োগের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরি দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
Advertisement
সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র হয়েছে। পরবর্তীতে ২০০১ সালের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা আবারও ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের পর ২৮ বছর কোটায় কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের চাকরি হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তী ২৮ বছর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। এছাড়া এই ৩০ শতাংশ কোটা তাদের আত্মমর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে জড়িত। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের দিকে তাকিয়ে হলেও এই কোটা বহাল রাখা জরুরি। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা একটি অসাম্প্রদায়িক জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন স্বাধীনতাবিরোধীমুক্ত করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারি কোটা থাকলেও এই কোটায় যোগ্যতার দোহাই দিয়ে তাদের মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ দেয়া হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রিলিমিনারি, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর কি যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে? মৌখিক পরীক্ষা কখনই যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র মানদণ্ড হতে পারে না। বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া যায় না। অথচ এখনও লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বেকারত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এফএইচএস/ওআর/পিআর
Advertisement