টানা উত্থানের পর দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে উভয় বাজারে টানা তিন কার্যদিবস পতন হলো। অবশ্য এই টানা দরপতনের আগের চার কার্যদিবস টানা উত্থান হয়ে ছিল উভই বাজারে।
Advertisement
মূল্য সূচকের পতন হলেও বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। তবে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৮টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৫৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
Advertisement
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ৩৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাডভেন্ট ফার্মা।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- মুন্নু সিরামিক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, কেয়া কসমেটিক, লাফার্জ হোলসিম, নর্দান জুট, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল এবং ইফাদ অটোস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ৪৭ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৮৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৯টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির।
এমএএস/এমআরএম/জেআইএম
Advertisement