লক্ষীপুরে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অতিবৃষ্টিতে সবজি, আউশ ও বীজতলাসহ এক হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়াও টানা বর্ষণে শতাধিক মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।এ দিকে ঝড়ো হাওয়ায় বৈদ্যুতিক লাইন ছিড়ে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম দূর্ভোগে রয়েছে কয়েক হাজার গ্রাহক।কৃষি অফিস সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, গত ছয়-সাত দিনের টানা বর্ষণে লক্ষীপুর শহরের কয়েকটি এলাকা, চন্দ্রগঞ্জ, দত্তপাড়া, মান্দারী, দিঘলী, চরশাহী, কুশাখালী, হাজিরপাড়া,উত্তরজয়পুর ইউনিয়ন, রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের ফতেহপুর, মজুপুর, দাসপাড়া, ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর, দরবেশপুর ইউনিয়নের সমিতির বাজার,শসালিয়া, আলীপুর, পৌরসভার আঙ্গর পাড়া, রতনপুর, কলচমা, বাঁশঘর, রায়পুরের কয়েকটি ইউনিয়নসহ জেলার প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্নস্থানে ৮০ হেক্টর জমির আউশ, ৮০৫ হেক্টর জমির বীজতলা, ২৫০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজী ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। শতাধিক মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে এক হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হলে এসব জমির ফসল ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা অনুরেন্দ্র চক্রবর্তী জানান, টানা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা দেয়া হবে। এ ব্যপারে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।কাজল কায়েস/এসকেডি/এমআরআই
Advertisement